কলকাতা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেওয়া খোলা চিঠিতে ২৩৯ জন বিজ্ঞানী দাবি করেছিলেন, করোনা ভাইরাস বাতাসে ছড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে এসি রেস্তোরাঁর বদ্ধ পরিসরও নিরাপদ নয়। চিনের এমন একটি রেস্তোরাঁয় একজনের থেকে অজান্তেই অনেকের শরীরে ছড়িয়ে যায় করোনা।
আনলক পর্বে রেস্তোরাঁ খুলে গেছে। একঘেয়েমি কাটাতে কেউ কেউ ঢুঁ মারতেও শুরু করেছেন। ভাবছেন, মাস্ক পরছি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছি, তাহলে আর ভয় কীসের! কিন্তু, এটুকুই কি যথেষ্ট? গবেষকরা বলছেন, একেবারেই নয়। বদ্ধ রেস্তোরাঁয় আপনার কাছাকাছি থাকা কোনও ব্যক্তির শরীরে যদি করোনা ভাইরাস থাকে, তাহলে আপনার করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাবে।
গবেষকদের অনুমান, বদ্ধ রেস্তোরাঁয় সংক্রমণ ছড়ানোর ক্ষেত্রে অন্যতম মাধ্যম হিসেবে কাজ করেছে এসি-র হাওয়া। যা ঘরের মধ্যেই ঘুরপাক খেয়েছে। কলকাতার রেস্তোরাঁয় যাঁরা ইতিমধ্যে ঢুঁ মেরেছেন, তাঁরা একথা শুনে রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁদের প্রশ্ন, এধরনের ঝুঁকি এড়াতে কী করণীয়?
বিশেষজ্ঞদের মত-
- সংস্থান থাকলে এবং বৃষ্টি না হলে খোলা জায়গায় বসার এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
- বদ্ধ জায়গা হলে প্রতিটি টেবিলের মধ্যে ২-৩ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। সম্ভব হলে এসি-র ব্যবহার কমাতে হবে।
- জানলা থাকলে অবশ্যই তা খোলা রাখতে হবে, যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে। এসি চালালেও এয়ার ফিল্টার ব্যবহার করতে হবে। রেস্তোরাঁয় খুব উচ্চস্বরে গান বাজানো চলবে না। এর ফলে গ্রাহকদেরও চেঁচিয়ে কথা বলতে হয়, তাতে ড্রপলেট বেরনোর হার বেড়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই হবে। তবে সংক্রমণ এড়িয়ে তা কীভাবে সম্ভব, সেটা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।