Bharat Biotech On Safety Of Covax: করোনা ভাইরাসের টিকা বিতর্কের মধ্যেই এবার মুখ খুলল ভারত বায়োটেক। তাদের তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাকসিন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলে জানিয়েছে সংস্থা। সম্প্রতি এই মর্মে একটি বিবৃতি দিয়ে দিয়েছে সংস্থা। তাদের কথায়, রোগীদের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে প্রথমে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আর তাই কোভিশিল্ডের মতো টিকার অতি বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই কোভ্যাকসিনে।
লাইসেন্স পেতে হাজার জনের উপর পরীক্ষা
শুধুমাত্র ওষুধ তৈরি নয়, ওষুধ নির্মাণের পরে সেটি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দেখার জন্য একটি ট্রায়ালের প্রয়োজন হয়। সেই ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল ভারত বায়োটেক। মোট ২৭ হাজার ব্যক্তিদের তথ্য একত্র করা হয়েছিল ট্রায়ালে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরে এই বিশেষ কোভিড টিকাকে রেস্ট্রিক্টেড ইউজ এই তকমা দিয়ে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল এই টিকাটি খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রকে পরখ করে দেখেছিল।
অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিবৃতির জের
অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিবৃতির জেরেই কোভিড টিকা নিয়ে এই গোটা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি মামলায় কোভিড টিকা প্রস্তুতকারী সমস্যা অ্যাস্ট্রোজেনেকা জানায়, তাদের তৈরি টিকার খুব বিরল কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। এর মধ্যে রক্ত জমাট বাধা থেকে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যাওয়ার মত সমস্যা গুলি রয়েছে এছাড়াও টিটিএস টিকা নিলে বিরল ক্ষেত্রে টিটিএস হতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এর পরেই সারা বিশ্বে তোলপাড় পরিস্থিতি। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির ঐকভির টিকার ফর্মুলা মেনে একইরকম টিকা তৈরি করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট। টিকার নাণ ছিল কোভিশিল্ড । প্রশ্ন উঠেছে এই টিকা নিয়েও।
সিরামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের
অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পরেই সিরামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়ের করেছেন এক দম্পতি। তাদের তরুণী কন্যা ২০২১ সালে এই টিকা নেন। টিকা নেওয়ার পরেই তাদের মৃত্যু। এই মৃত্যু টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেই হয়েছে বলে অভিযোগ ওই দম্পতির। আর সেই ভিত্তিতেই মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও এই ঘটনার জেরে একটি জাতীয় কমিটি তৈরি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই কমিটি টিকার জেরে তরুণীর মৃত্যুকে নাকচ করে দিয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন - Vaccine Controversy Row: ‘কন্যার মৃত্য়ু টিকা নিয়েই!’ সিরামের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে এবার আদালতে দম্পতি