কলকাতা: হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack)। হৃদরোগ। নানা কারণে এই মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা জানান, ওবেসিটি, মধুমেহ এবং আরও অনেক অসুখের কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের কারণেও বাড়তে পারে হৃদরোগের ঝুঁকি। এর পাশাপাশি আরও একটি মারাত্মক রোগের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 


কোন মারণ রোগের কারণে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি?


গবেষকদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে ব্যাপক হারে বেড়েছে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্তর সংখ্যা। সাধারণ মানুষ থেকে বহু তারকা গত কয়েক বছরে প্রাণ হারিয়েছেন হার্ট অ্যাটাকের কারণে। সিদ্ধার্থ শুক্ল, রাজু শ্রীবাস্তব থেকে ছোট ও বড় পর্দার বেশ কিছু তারকা মারা গেলেন হার্ট অ্যাটাকের কারণে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি গত কয়েক বছরে মারাত্মক হারে বেড়েছে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে। কোভিড সংক্রমণের কারণে বেড়েছে হৃদরোগে আক্রান্তর সংখ্যা। 


আরও পড়ুন - World Heart Day: রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় যে ব্যায়ামগুলি


গত প্রায় আড়াই বছর ধরে বিশ্ব জুড়ে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছে করোনাভাইরাস। কোভিড১৯-এর সংক্রমণে বিশ্ব জুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মারণ রোগ করোনাভাইরাসে বহু মানুষ তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন। এই রোগের সংক্রমণের কারণে সারা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল একটা সময়। লকডাউন, মাস্ক পরা, দূরত্ব মেনে চলার মতো অভ্যাসে অভ্যস্ত হতে হয়েছিল মানুষকে। যদিও বিশ্ব জুড়ে করোনা সংক্রমণের হার বর্তমানে অনেকটাই কমেছে। তাও, একেবারে সংক্রমণ কমেনি। এখনও প্রতিদিন বেশ কিছু মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনার সংক্রমণের হার কমলেও এখনও সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। এই অসুখ শুধুমাত্র একবার আক্রান্ত হওয়া আর তা সেরে যাওয়াতেই থেমে থাকে না। বরং, কোভিড১৯-এর সংক্রমণ বাড়িয়েছে অন্য অনেক রোগের ঝুঁকি। বিশেষজ্ঞ থেকে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, হার্ট অ্যাটাকের মতো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনাভাইরাস। চিকিৎসকদের মতে, অতিমারি পরিস্থিতিতে বেড়েছে ধূমপানের প্রবণতা। এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে বেড়েছে শরীরের অতিরিক্ত ওজন, স্ট্রেস। আর তাতেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে হৃদরোগের ঝুঁকি।


হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে যেগুলি করা প্রয়োজন-


১. ধূমপান ত্যাগ করা দরকার।
২. নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার।
৩. নিয়মিত রক্তচাপ মাপা দরকার।
৪. নিয়মিত রক্তে শর্করার মাত্রা মাপা দরকার। 
৫. চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা দরকার।
৬. ৪০ বছরের পর থেকে হৃদরোগ প্রতিরোধের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলা দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।