কলকাতা: জীবনে কখনও কখনও এমন মুহূর্ত আসে, যখন চোখের জল আটকে রাখা দায়। ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন কেউ কেউ। দুঃখে ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ প্রচন্ড কষ্ট, দুঃখ হলেও চোখের জল আটকে রাখতে জানেন। কাঁদেন না। এমনকি চোখের জলও দেখা যায় না তাদের। কিন্তু চোখের জল নেই মানেই কি কান্না নেই (Crying Without Tears) ? সত্যিই কি তাদের কান্না আসে না ? এলে কী করেই বা তা সামলে রাখেন ? এই বিষয়েই এবিপি লাইভ বাংলাকে বিশদে জানালেন মনিপাল হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী।


কান্না কেন চাপাই থাকে ভিতরে ভিতরে ?


এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি কারণের কথা তুলে ধরলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক। এর মধ্যে প্রথমেই যেটি রয়েছে তা হল -


আবেগ দমন বা ইমোশন সাপ্রেশন - অনেক মানুষ দুঃখকে নিজের ভিতর দমিয়ে রাখেন। দমিয়ে রেখেই সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে নেন। এটি একরকমের কোপিং মেকানিজম (Coping Mechanism)। যাতে কেউ কেউ মনে করেন, দুঃখ চেপে রাখলে কমবে। একটা সময় এটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়।


কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সামাজিক শিক্ষা - কিছু ক্ষেত্রে সমাজ কিছু জিনিস শিখিয়ে থাকে। যা পরে একেকজনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়। কান্নার ক্ষেত্রেও তাই। যেমন অনেক ছেলে বাচ্চাদের না কাঁদতে শেখানো হয়। ফলে ছোট থেকেই তাদের অনেকে কান্নাকাটি দমন করতে শেখে। যার ফলে দুঃখের সময় আর চোখে জল আসে না।


ট্রমা ও পূর্ব অভিজ্ঞতা - কাঁদলে ঘটনাটা অনেক বড় হয়ে যেতে পারে। আগের কোনও ট্রমা বা অভিজ্ঞতা থেকে (Mental Health) অনেকে এটা মনে করেন। তখন কান্না আসে। এই ট্রমার মধ্যে ছোটবেলায় মারধর খাওয়া, যৌন নিগ্রহের ঘটনাও থাকে। 


না কাঁদলে কী ক্ষতি ?


দুঃখের আবেগ জমতে জমতে এক সময় তার বিষ্ফোরণ হতে পারে (Mental Health Tips)। এই বিষ্ফোরণ নানা রূপে হতে পারে। 



  • কেউ খুব বেশি ঘ্যানঘ্যানে হয়ে পড়েন। 

  • কেউ আবার প্রচন্ড আগ্রাসী মানসিকতার মানুষ হয়ে পড়েন। যা আশেপাশের মানুষগুলির মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। 

  • আবার কেউ কেউ অবসাদের শিকার হতে পারেন। 

  • এমনকি সম্পর্কের মধ্যেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Health Tips: ঝুঁকে নাকি শরীর টানটান করে হাঁটবেন ?