CSIR Dress Code Explainer :  আয়রন করা জামাকাপড় পরে না বেরোলে নিজেরই যেন অস্বস্তি হয়। অপ্রস্তুতে পড়তে হয় রাস্তাঘাট ও কর্মস্থানে। কিন্তু সিএসআইআর অর্থাৎ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ সম্প্রতি এমন পোশাক পরতেই উৎসাহ জোগাল। ১৪ দিনের জন্য সারা ভারতে তাদের সবকটি প্রতিষ্ঠানে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। ‘রিঙ্কলস আচ্ছা হ্যায়’ নামের একটি প্রকল্প শুরু করেছে সিএসআইআর। ওই প্রকল্পের ভিত্তিতেই প্রতি সোমবার আয়রন না করা পোশাক পরতে হবে। কিন্তু কেন পরতে হবে এমন পোশাক ? সেই কারণটিও জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্র।


‘রিঙ্কলস আচ্ছা হ্যায়’


‘রিঙ্কলস আচ্ছা হ্যায়’ ক্যাম্পেনের মূল উদ্দেশ্য হল পরিবেশ দূষণ কমানো। আয়রন করলে পরিবেশে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়। দুটো পোশাক আয়রন করলেই ১০০-২০০ গ্রাম কার্বন ডাই অক্সাইড। কিন্তু কীভাবে ? সেই প্রক্রিয়াটাও নোটিস দিয়ে জানিয়েছে সিএসআইআর। 


কীভাবে আয়রন থেকে বাড়ছে দূষণ ?


ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সূত্র মারফত প্রাপ্ত খবর বলছে এই নোটিস জারি করা হয়েছে সিএসআইআর-র ৩৭টি গবেষণাগারে। প্রতিটি কর্মী থেকে গবেষক ও ছাত্রদের এই ক্যাম্পেনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু পোশাক আয়রন করলে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হচ্ছে কীভাবে ? এরই ব্যাখ্যা দিয়েছে সিএসআইআর। বলা হয়েছে, একটি আয়রন মেশিন ৮০০ থেকে ১২০০ ওয়াট বিদ্যুতে চলে। যা একটি ঘরের সাধারণ বাল্বের বহুগুণ বেশি। আর এই বিদ্যুতের বড় অংশ আসে কয়লা পুড়িয়ে। ভারতে এখনও ৭৪ শতাংশ বিদ্যুৎ কয়লা পুড়িয়ে তৈরি করা হয়। যার জেরে কার্বন ডাই অক্সাইডও বাতাসে নির্গত হয়। সেই সূত্রেই আয়রন করলে পরিবেশ দূষণ বেড়ে যায়।


৩০ মিনিট ব্যবহার করলে কতটা দূষণ


একটি আয়রন ৩০ থেকে ৬০ মিনিট করলে কতটা দূষণ ছড়ায়, তাও জানিয়েছে গবেষণা কেন্দ্র সিএসআইআর। দুটো পোশাক ইস্ত্রি করলেই ১০০-২০০ গ্রাম কার্বন দূষণ ছড়ায়। ফলে ৩০-৬০ মিনিটে ১০ টা জামা ইস্ত্রি করলে নির্গত কার্বনের মাত্রা বেড়ে হয় ১ কেজি। যা অনেকটাই ক্ষতিকর। তবে দূষণরোধী সার্কুলার জারি করলেও সিএসআইআর নিজেও দূষণের জন্য অনেকাংশে দায়ী। সেখানে ব্যবহৃত রাসায়নিক একদিকে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই অন্যদিকে পরিবেশ দূষকও।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Weight Loss Tips: প্রচণ্ড গরমে ওজন কমান জাপানি ডায়েট মেনে, রয়েছে বাড়তি উপকার