কলকাতা : রান্নাঘরে রাখা অনেক উপকরণেরই স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। প্রতিটি মশলার নিজস্ব স্বতন্ত্র উপকারিতা রয়েছে। এই মশলাগুলি সাধারণত সবজি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। মশলা দিলে সবজির স্বাদ বাড়ে। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠে। রান্নাঘরে রাখা তেমনই একটি উপকরণ হল কারি পাতা। এর অনেক সুবিধা রয়েছে। পনির, রাজমা, ছোলা তৈরিতে কারি পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কারি পাতা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী তা জানার চেষ্টা করা যাক।


চোখের জন্য উপকারী- দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারি পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ থাকে। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কারি পাতা খেলে ছানি রোগের উপশম হয়।


লিভারের জন্য উপকারী- অতিরিক্ত মদ, তৈলাক্ত খাবার, জাঙ্ক ফুডের কারণে লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লিভারে অপ্রয়োজনীয় চর্বি বাড়ে। কারি পাতা লিভারের জন্য উপকারী। 


এশিয়ান জার্নাল অফ ফার্মাসিউটিক্যালস-এ প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে, কারি পাতা খাওয়া লিভারকে যে কোনও ধরনের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে দূরে রাখতে পারে। এটি লিভার থেকে টক্সিন দূর করতেও কাজ করে। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি লিভারকে সুস্থ রাখতে কাজ করে।


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন- নিয়মিত কারি পাতা খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। জার্নাল অফ প্ল্যান্ট ফুড ফর নিউট্রিশনে প্রকাশিত গবেষণায় জানা গেছে যে, নিয়মিত কারি পাতা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ে না। ইনসুলিন ঠিক থাকে। কারি পাতায় উপস্থিত ফাইবার সুগার নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এটি টাইপ টু ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।


সর্দি, কাশিতে উপশম দেয়- সর্দি, কাশি এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যা থাকলে কারি পাতা অনেক উপশম দেয়। এটি বুকের জমে থাকা কফ বের করে আনতে কাজ করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং এ-র ​​যৌগ কেম্পফেরলে প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে। এটি বুকে স্বস্তি দিতে কাজ করে।


হজমের সমস্যা কাটায়- পরিপাকতন্ত্র সংক্রান্ত কোনও সমস্যা থাকলে কারি পাতা ওষুধ হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়ায় উপশম দেয়। পেটের রোগ নিরাময় করে মেটাবলিজমের উন্নতি ঘটায়। স্থূলতা বাড়ে না।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।