Dementia New Test: একটু বেশি বয়সের রোগ। কিন্তু যতদিন রোগটি থাকে, ততদিন খুব কষ্টের মধ্যে থাকতে হয় আক্রান্ত ব্যক্তিকে। রোগটির এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ বেরোয়নি। ফলে সেভাবে কোনও চিকিৎসাও নেই। অথচ এই রোগেই বিশ্বের ৫৫ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ ভুগছেন। রোগটির নাম ডিমেনশিয়া (Dementia Signs)।
ডিমেনশিয়ার সম্ভাব্য কারণ (Dementia Possible Causes)
ডিমেনশিয়া রোগ দিন দিন আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। কারণ এই রোগ স্নায়ুকোশগুলি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। স্ট্রেস, ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ স্নায়ুকোশের ক্ষতির বড় কারণ।
নয় বছর আগেই রোগ শনাক্তকরণ
সম্প্রতি লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি চিকিৎসকরা একটি নতুন ধরনের পরীক্ষা (Dementia Treatment Ways) আবিষ্কার করেছেন। এই টেস্টটির মাধ্যমে একজনের ডিমেনশিয়া হবে কি না তা ৯ বছর আগেই জেনে ফেলা সম্ভব। এই টেস্টটি এমআরআই স্ক্যানের মতো কাজ করে। টেস্টের মাধ্যমে ব্রেনের ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কে (ডিএমএন) কোনও বদল হচ্ছে কি না তা জানা যায় (Dementia symptoms)। এই নেটওয়ার্কটিই বলে দেয় ডিমেনশিয়া হওয়ার সম্ভাবনা কতটা।
ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্ক (Default Mode Network) আদতে কী
এটি ব্রেনের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে। কগনিটিভ কার্যক্ষমতা এর দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। কুইন মেরি উলফসন পপুলেশনের হেলথের চার্লস মার্শাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই টেস্টটি চিকিৎসার নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে কারণ স্নায়ু কোশ একবার নষ্ট হতে শুরু করলে প্রক্রিয়াটিকে আর বিপরীতদিকে চালিত করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ ঘটনাটি ঘটতেই থাকে। ডিমেনশিয়ার (Dementia Cause) এই প্রকৃতির জন্যই রোগটি আরও ভয়ঙ্কর বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চার্লস।
ডিমেনশিয়ার লক্ষণ (Dementia Signs)
- বেশ কিছু স্মৃতিশক্তি লোপ পেয়ে যায়।
- কোনওকিছুতে মনোসংযোগ করতে অসুবিধা হয়।
- রোজকার কাজকর্ম করতে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়। কারণ কগনিটিভ কার্যক্ষমতা লোপ পেতে থাকে।
- কথা শুনতে, বুঝতে ও বলতে অসুবিধা হয়।
- সময় ও স্থান প্রায়ই গুলিয়ে যায়।
- ঘন ঘন মেজাজ হারিয়ে ফেলেন আক্রান্ত ব্যক্তি।
আরও পড়ুন - Kids Liver Disease: ছোটদেরও মধ্যে বাড়ছে লিভারের রোগ! নেপথ্যে ডিজিটাল দুনিয়ার হাতছানি ?
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।