আজ ধনতেরস (Dhanteras)। সোনা-রুপো (Gold Silver)কেনার শুভ দিন। ধন ত্রয়োদশীর উদযাপন একটা সময় অবধি সীমাবদ্ধ ছিল উত্তর ভারতেই। কিন্তু এখন বাংলার ঘরে ঘরেও পালিত হয় ধনতেরস। সোনা-রুপোর গয়না কিনতে ওই দিন ভিড় জমান মানুষ। তবে নিজের সাধ্যমতন যে কোনও ধাতব সামগ্রী কেনাই এই দিনের রীতি। মানা হয় নানা রীতি। এই তিথির সঙ্গে জুড়ে আছে অনেক পুরাণ-কথা ও কিংবদন্তী।
কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরস উৎসব। ধনদেবীর আরাধনার এক বিশেষ দিন।
কালী করেন অশুভ শক্তির বিনাশ আর লক্ষ্মী ঘটান শ্রীবৃদ্ধি। তাই দীপাবলির দু'দিন আগে পালিত হয় ধনতেরস। অবশ্য কেনাকাটা শুরু হয় সপ্তাহখানেক আগে থেকেই।
- ধনতেরসে ধনলক্ষ্মী কেন পূজিতা ?
সমুদ্রের ক্ষীরসাগর থেকে উঠে এসেছিলেন মহালক্ষ্মী। অমাবস্যার অন্ধকার থাকায় লক্ষ্মীকে বরণ করে স্বর্গে ফিরিয়ে নেওয়ার অনুষ্ঠানে আলোকমালায় সজ্জিত করা হয় স্বর্গকে। কালী করেন অশুভ শক্তির বিনাশ আর লক্ষ্মী ঘটান শ্রীবৃদ্ধি।
আরও পড়ুন :
ধনতেরসে কী কী জিনিস কিনতে সংসারে শ্রী আসবেই বলে বিশ্বাস ?
ধন্বন্তরীর সঙ্গে ধনতেরসের কী যোগ ?
কথিত আছে, সত্যযুগে দেবাসুর যখন অমৃতের জন্য সমুদ্রমন্থনে রত তখন ক্ষীরসমুদ্র থেকে উঠে এলেন দেব চিকিৎসক ধন্বন্তরী। তাঁকে বিষ্ণুর এক রূপ বলে ধরা হয়। সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবনের জন্য সবাই তাঁর পুজো করে। তাঁর সঙ্গে উঠে এলেন লক্ষ্মীদেবী। তাই এই দিন ধনসম্পদের জন্য মানুষ লক্ষ্মীপুজোও করে থাকে। একই ভাবে কুবেরের কাছে থাকে দেবতাদের সম্পদ।
- কুবেরের পুজোও হয় ধনতেরসে
ধনসম্পদের জন্য এইদিন কুবেরের পুজোও প্রচলিত। একইসঙ্গে প্রতিটি বাড়ির মূল প্রবেশ পথে এইদিন মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় যমরাজের উদ্দেশে। - কেন কেনা হয় সোনা এই দিনে ?
মানুষের বিশ্বাস, এই দিন কোন ধাতব দ্রব্য কিনলে তা পরিমাণে তেরো গুণ বৃদ্ধি পায়। এই ধারণা থেকেই ধনতেরাসে সোনা কেনার প্রচলন হয়েছে।
ধনতেরস উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান নীতীন গডকড়ী।