Dry Fruits খেলে শরীরে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই কারণেই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ড্রাই ফ্রুট খাওয়া অপরিহার্য বলে মনে করা হয়। যদিও ডায়াবেটিস একটি কঠিন রোগ। কিন্তু কেউ যদি নিজের জীবনযাত্রার কথা মাথায় রেখে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনে এবং খাদ্যতালিকায় কিছু শুকনো ফল অন্তর্ভুক্ত করে, তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

Continues below advertisement

রক্তে শর্করার মাত্রায় নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন কোন Dry Fruit খাবেন ?

চিনাবাদাম- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য চিনাবাদাম উপকারী বলে বিবেচিত হয়। চিনাবাদামে প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এর প্রোটিন উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই কারণেই চিনাবাদাম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।

Continues below advertisement

কিসমিস- কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। তাই এই ড্রাই ফ্রুট খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিসমিসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও থাকে। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের মনে রাখা উচিত যে কিসমিসে ন্যাচরাল সুগার থাকে। এই কারণে, এটি সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করুন।

আখরোট- আখরোটকে খুবই স্বাস্থ্যকর বাদাম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে। যা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এর সুপারিশ করা হয়।

পেস্তা- পেস্তায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন থাকে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন পেস্তা খাওয়া উচিত। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরকে ক্ষতিকারক ফ্রি ব়্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে।

প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকটি ড্রাই ফ্রুটস রয়েছে যেগুলি নিয়মিত খেলে আপনার মস্তিষ্ক সজাগ এবং সক্রিয় থাকবে। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কখনই দুর্বল হয়ে যাবে না। মনঃসংযোগ বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে একাগ্রতাও। বয়সের ভারেও স্মৃতিশক্তি ফিকে হবে না। অনেক বয়স পর্যন্ত দারুণ সজাগ হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজ করবে মস্তিষ্ক। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে, রোজ যাঁরা এইসব ড্রাই ফ্রুটস খাবেন, তাঁদের অল্প পরিমাণে খেতে হবে। নাহলে শরীর-স্বাস্থ্যের উপকারের বদলে অপকারই হবে বেশি। আক্ষরিক অর্থেই 'মেমোরি বুস্টার' হিসেবে কাজ করে- আখরোট, আমোন্ড, কাজুবাদাম।

ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।