কলকাতা: বড়দের মতো ছোটদেরও হতে পারে ডায়রিয়া। বিশেষজ্ঞরা জানান, পাঁচ বছর বয়সের নিচের শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। পেট খারাপ, তার সঙ্গে বমি এবং শরীরে অস্বস্ত্বিভাব, এই লক্ষণগুলি ছাড়াও ডায়রিয়ার আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে। কীভাবে বুঝবেন বাড়ির খুদে সদস্যটির ডায়রিয়া হয়েছে? জানুন এর লক্ষণগুলি।


শিশুদের ডায়রিয়া হওয়ার কারণ-


বিশেষজ্ঞরা জানান, মূলত শরীরে ভাইরাসের আক্রমণের কারণেই ডায়রিয়া হতে পারে। শিশুর বয়স যখন খুব কম, তখন এই সমস্য়া সবথেকে বেশি দেখা যায়। এছাড়াও আচমকা খাবার বদলের কারণে, অত্যধিক পরিমাণে ফলের রস খাওয়ার কারণে, খাবার থেকে অ্যালার্জি হলে এবং অনেক সময়ই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে।


শিশুদের ডায়রিয়া হলে কী করবেন?


১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, যদি আপনার সন্তান খুব ছোট হয়, তাহলে তাকে স্তন্যপান করান। শিশুর শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য দারুণ উপকারী।


২. হাত ধোওয়ার অভ্যাস বাড়াতে হবে। খাওয়ার আগে এবং মুখে হাত দেওয়ার আগে বাচ্চাদের হাত ভালো করে ধুয়ে দিতে হবে। দরকারে স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।


৩. অকারণে বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ খাওয়াবেন না।


আরও পড়ুন - Health Tips: চিৎকার-চেঁচামেচি, সারাক্ষণ মেজাজ হারানোয় কোন অসুখ ডেকে আনছেন?


শিশুদের ডায়রিয়া হলে বুঝবেন যেলক্ষণগুলি দেখে-


বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের ডায়রিয়া হলে অনেক সময়ই মা-বাবা বুঝতে পারে না। অনেক সময়ই সাধারণ পেট খারাপ মনে করে এড়িয়ে যান। কিন্তু এই অসুখ একেবারেই ফেলে রাখা উচিত নয়।  পেটের সমস্যা ছাড়াও পেশিতে টান ধরা, ডিহাইড্রেশন, ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। উদ্বিগ্ন না হয়ে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা দরকার। 


পাশাপাশি, ডাব অথবা নারকেলের জলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মিনারেলস এবং ইলেক্ট্রোলাইটস। যা পেট ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। এতে খুব কম মাত্রায় রয়েছে ফ্যাট এবং ক্যালোরি। এই সময় যাঁদের মাথা ঘোরা, বমিভাবের সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তাঁরা প্রতিদিন তালিকায় রাখতে পারেন ডাবের জল। সুস্থ থাকতে শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে সুস্থ থাকতে গেলে। এছাড়াও জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন ORS। এছাড়াও প্রয়োজনে জলে নুন ও চিনি মিশিয়েও খেতে পারেন। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।