কলকাতা :  খাওয়া - দাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে গেলেই মন খারাপ ?  আপনার মিশন কি ওয়েট-লস (weight liss)? একটু ঝরঝরে থাকতে চান? সবকিছুরই পয়লা শর্ত সেই খাওয়ার সঙ্গেই যুক্ত। এতেই পড়ছেন ভোজনরসিকরা মুশকিলে। একে তো শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে মনে অশান্তি, আবার ওজন কমানোর মিশন অ্যাচিভ করার মানসিক লড়াই। তার উপর প্রিয় খাবারগুলিকে যখন একেক কে প্লেট থেকে সরিয়ে দিতে হয়, তখনই লাগে ধাক্কা। সেটা যতটা না জিভে, তার থেকেও বেশি মনে।


ডায়েট কন্ট্রোল (Diet Control) করতে গিয়ে মানসিক কষ্টে (Mental Stress) ভুগতে শুরু করেন অনেকে। আর এখান থেকেই শুরু হয় আরেক বিপত্তি। কারণ ডিপ্রেশন (Depression) হলে আবার বেশি মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাওয়ার দিকে মানুষের মন যায়। সব মিলিয়ে চ্যালেঞ্জটা আরও কঠিন হয়ে পড়ে। এই সমস্যটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়? এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত (Dept head of B.M.Birla Heart Research Centre)। 


আরও পড়ুন :


বাচ্চাকে বাইরের খাবার খাওয়ানো শুরু করবেন কবে? মাছ-মাংস না ডিম কোনটা আগে?


 


পুষ্টিবিদ মালবিকা দত্ত জানালেন -



  • কোনও ভোজনরসিক মানুষের ক্ষেত্রে হঠাৎ করে চরম কড়াকড়ি করলে, সে আর ডায়েটচার্ট মানবেই না। তাই চেষ্টা করি, আস্তে আস্তে ক্যালরি কাটডাউন করতে। 

  • যে খাবার খেলে সমস্যা হতে পারে, সেই খাবার কেন খাওয়া উচিত নয়, সেটা রোগীকে বোঝানো প্রয়োজন। 

  • কারও যদি মিষ্টির প্রতি খুবই ভালবাসা থাকে, তাহলে তাকে পরামর্শ দিয়ে থাকি, রসের মিষ্টির বদলে সন্দেশ খেতে, যখন খুবই ইচ্ছে করবে। 

  • রাতে খাওয়ার পর যার মিষ্টিমুখ না করলে চলে না, সে সন্দেশ একটা খেতে পারে, একটা রুটি কমিয়ে । 

  • তবে রাতের দিকে যত কম ক্যালরি ইনটেক হয়, ততই ভাল। তাই মিষ্টি খেতেই হলে, সকালের দিকে খাওয়া ভাল। তাতে ক্যালরি বার্নআউট হওয়ার সুযোগ থাকে। 

  • সারাদিনে ১৫-২০ মিনিট ব্রিস্ক ওয়াক করা আবশ্যক। প্রথমেই ডায়েটের সঙ্গে সঙ্গে বেশিরকম ওয়ার্কআউটের পরামর্শ দিলে সেটা রোগীর কাছে বোঝা মনে হতে পারে। 

  • আস্তে আস্তে নিয়ম কঠিন হলে মানুষ সংযমের দিকে এগোন । 

  • সপ্তাহে ১ দিন ছাড়ের দিন দেওয়া হয়ে হয়ে থাকে, যাতে করে নিয়ন্ত্রিত ডায়েটে থাকা মানুষটির কাছে একদিন খুশি মনে খাওয়ার অবকাশ থাকে। এতে করে মন ভাল থাকে। হঠাৎ অবসাদ আসবে না।