Digital Detox Cause And Ways: ডিজিটাল দুনিয়া এখন আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। এর থেকে মুক্তি পেতেই জরুরি ডিজিটাল ডিটক্স। ডিজিটাল ডিটক্স মানে ফোন বন্ধ করে রাখা নয়। বরং নিজের উপর কিছুক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনা। নিজের জন্য একটি রুটিন করে নেওয়া। যে যে সময় ফোনের ধারেকাছে পাওয়া যাবে না নিজেকেই।  কিন্তু কেন এটি জরুরি ? কাদের জরুরি ? আর করবেনই বা কীভাবে ? জেনে নেওয়া যাক। 


কেন ডিজিটাল ডিটক্স জরুরি ?



  • ডিজিটাল দুনিয়া যেমন উপকার করছে, তেমনই ডেকে আনছে নানা বিপদ। মানসিক সমস্যা তার মধ্যে অন্যতম। মনখারাপ, অবসাদ, ঘন ঘন মেজাজ হারিয়ে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে।

  • নেশা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ডিজিটাল দুনিয়া‌। সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সবসময় ফোন ঘাঁটতে দেখা যায়। গবেষণা বলছে,  কোনও কাজ ছাড়াই দিনে ১১ ঘন্টা ফোনের পিছনেই চলে যায় তরুণ তরুণীদের। 

  • বাড়ছে সম্পর্কের নানা সমস্যাও। ভার্চুয়াল দুনিয়াকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে সম্পর্কের নানা সমস্যা বাড়তে দেখা গিয়েছে একাধিক গবেষণায়‌।

  • অসামাজিক হয়ে পড়ার প্রবণতাও বাড়ছে দিন দিন। একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সামাজিকতা দিন দিন তলানির দিকে।


কাদের ডিজিটাল ডিটক্স জরুরি ?



  • সোশ্যাল মিডিয়া, ফোন ঘেঁটে মন খারাপে ভোগেন। 

  • ফোন নেশার মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

  • ফোন থেকে একটুও দূরে থাকতে পারেন না। 

  • ফোন কয়েক মিনিট খুঁজে না পেলে অস্থির হয়ে পড়েন। তোলপাড় করে খুঁজতে থাকেন। 

  • ফোন দিয়ে দিন শুরু, ফোন দিয়ে দিন শেষ যাদের। 

  • বাড়ির সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের সময় দেওয়া ফোনের হয়ে ওঠে না যাদের। 


ডিজিটাল ডিটক্স কীভাবে করবেন ?



  • ডিজিটাল ডিটক্স করতে হলে প্রথমেই একটি রুটিন বানাতে হবে। ফোন বা ডিজিটাল দুনিয়া দরকারে লাগে। কিন্তু দিনের একটা সময় এই দরকার আপনার থাকবে না। সেটা ১০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা পর্যন্ত হতে পারে। ঠিক যেমন ঘুমোনোর সময় দরকার হয় না। 

  • বাস্তব জগতটার কাছে আসতে হবে। ফোনের জন্য অনেক কিছু কাজ পড়ে থাকে বাড়ি, পরিবার বা নিজস্ব। সেগুলি হয়তো না করলেই নয়‌। এই কাজগুলিকে সময় দিন। 

  • ফোনের সময় বাঁধুন।  দিনে কতক্ষণ এই যন্ত্রটি ব্যবহার করবেন তা ঠিক করে নিন। 

  • ভার্চুয়াল বন্ধু ও পরিচিতদের অবশ্যই জানান আপনি দিনের একটা সময় ফোন ব্যবহারে ইচ্ছুক নন। নয়তো আপনাকে না পেয়ে তাদের চিন্তা বাড়বে। যা ডিজিটাল ডিটক্সে সমস্যা করতে পারে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন - Health News: দিনে কত গ্রাম কৃত্রিম চিনি খাবেন ? কতটা খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে