কলকাতা: হিন্দু ধর্মে অশ্বত্থ গাছকে পরম পূজনীয় বলে গন্য করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস, এই গাছের সব অংশে ভগবানের অধিষ্ঠান। অশ্বত্থ গাছকে চৈতী বৃক্ষ,  বিশ্ববৃক্ষ ও বাসুদেবও বলা হয়ে থাকে। শ্রীমদভগবত গীতায় শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, গাছেদের মধ্যে আমি অশ্বত্থ। অশ্বত্থ গাছের মূলে ভগবান ব্রহ্মা, কাণ্ড বা মাঝের অংশে ভগবান বিষ্ণু, এই গাছের ঊর্ধাংশে ভগবান শিবের বাস। আবার স্কন্দ পুরাণ অনুসারে, অশ্বত্থ গাছের গোড়ায় ভগবান বিষ্ণু কাণ্ড বা মাঝের অংশে  কেশব, শাখায় নারায়ণ ,পাতায় ভগবান শ্রীহরি, এবং সমস্ত ফলের মধ্যে সমস্ত দেবতাদের অধিষ্ঠান।


অথর্ববেদ এবং ছান্দোগ্যোপনিষদে অশ্বত্থ গাছের নিম্নস্থলকে দেবতাদের স্বর্গ বলা হয়েছে।এ ই জন্য হিন্দু ধর্মে বলা হয়ে থাকে পুরো নিয়ম মেনে যে ব্যক্তি অশ্বত্থ গাছের পুজো করবেন, তাঁর মনের সব ইচ্ছা পূরণ হবে। অন্যদিকে কেউ যদি নিয়ম না মেনে অশ্বত্থ গাছের পুজো করেন, তাকে আজীবন ভোগান্তি পোয়াতে হয়।

মনে করে হয়, শনিবার এবং অমাবস্যার দিনে অশ্বত্থ গাছের নীচে জপতপ করলে এবং শনিবার অশ্বত্থ গাছের নীচে প্রদীপ জ্বালালে মানুষের জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে। জীবনে যাবতীয় সাফল্যে পাওয়া যায়।

আরও মনে করা হয়, শনিবার অশ্বত্থ গাছে জল প্রদান খুব শুভ।  ধর্ম বিশ্বাস অনুসারে,   রবিবার এই গাছে জল দেওয়া উচিত নয়।

শনিবারের পরিবর্তে কেউ যদি রবিবার অশ্বত্থ গাছে জল দেয় পূজার্চনা করেন, তা হলে তাঁর জীবনে অশেষ দুঃখ নেমে আসে।