নয়া দিল্লি: আমাদের আজকের ব্যস্ততার দিনে আমরা একদিন রান্না করে তিন দিন ধরে ফ্রিজে রেখে খাই। আর গবেষণা বলছে, এভাবে খাওয়াটা ঠিক নয়। এতে অনেক রোগ হয়। ভাতের পরেই রুটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য। রুটির প্রধান উপাদান আটায় থাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। অনেকেই রাতে ভাত খাওয়ার পরিবর্তে রাতে রুটি খান। আটার সবচেয়ে ভাল গুণ হলো এতে কোন ফ্যাট থাকে না। 


আপনারা জেনে অবাক হবেন, আর যা কিছুই বাসি খেলে আপনার ক্ষতি হোক না কেন, বাসি রুটি কিন্তু আপনার উপকার করবে।


বাসি রুটি ফেলে দেন? তবে জানেন কি বাসি রুটি খেলে ভালো থাকবে স্বাস্থ্য। এমনকি টাটকা রুটির চেয়েও বাসি রুটি অনেক বেশি উপকারী। বিশেষ করে যারা দুধ-রুটি খেতে ভালবাসেন, তারা পাবেন বেশি সুবিধা।


যে কারণে দুধ দিয়ে বাসি রুটি খাওয়া উচিত-


১. রক্তচাপের সমস্যা এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই। দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই অসুখ। অন্যদিকে ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী বাসি রুটি। কারণ, বাসি রুটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।


২. বাসি রুটিতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এমনকি নিয়মিত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলেও বাসি রুটি হতে পারে তার সহজ সমাধান।


৩. শরীরের নিঃশব্দ ঘাতকের নাম স্ট্রোক। আর বাসি রুটি খেলে কমবে স্ট্রোকের ঝুঁকিও। এই রুটি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।


৪. সহজে রোগা হওয়ার নানান উপায় তো রয়েছেই। রোজ রাতে যদি দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খাওয়া যায়, তাহলে ওজন বাড়বে দ্রুত।


৫. আপনি কী জানেন যে বাসি রুটি খেলে এই হজমের সমস্যারও সমাধান হয়? না জানলে জেনে নিন। গবেষণায় দেখা গেছে যে, রুটিতে থাকা ফাইবার সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও শক্তিশালী হয়। তাই এবার থেকে বাসি রুটি না ফেলে সকালে খেয়ে নিন। ত্বক ভাল রাখতে আবার বাসি রুটি! হ্যাঁ, বাসি রুটি এই কামালটিও করতে পারে। কারণ বাসি রুটির মধ্যে থাকা জিঙ্ক শরীরের থেকে টক্সিন দূর করে। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়তে থাকে। তাই ত্বকও হয়ে ওঠে সুন্দর।


 


আরও পড়ুন, হার্ট অ্যাটাকের আগে শুধু শরীরেই নয়, চুলেও আসে এই পরিবর্তন ; সামনে এল রিসার্চ