কলকাতা : শরীর এবং মন, দুই ভাল রাখার জন্য যোগব্যায়াম জরুরি। নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরাই। তবে অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়াই নিজের মর্জিমাফিক যোগাসন করেন বাড়িতে। আর তা থেকেই হতে পারে মারাত্মক বিপদ। ছোট ছোট ভুল কিন্তু শরীরের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। তাই এই সময়ে মাথায় রাখতে হবে বেশ কয়েকটি দিক। সেগুলো কী কী? কিছু প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হল এখানে। যোগব্যায়াম অভ্যাসের সময়ে অবশ্যই এগুলো মেনে চলুন। 



  • অনুশীলনের সময়ে প্রশিক্ষক উল্লেখ না করা পর্যন্ত অস্বাভাবিকভাবে শ্বাস ধরে রাখবেন না। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। যোগব্যায়াম করাকালীন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন। অযথা বাড়তি সময় শ্বাস আটকে রাখবেন না। প্রাণায়মের ক্ষেত্রে শ্বাস-প্রশ্বাসের বিশেষ নিয়ম রয়েছে, সেগুলো মেনে চলুন।

  • ক্লান্তি, জ্বর বা অসুস্থ থাকাকালীন যোগাভ্যাস না করাই ভাল।

  • অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গর্ভে চাপ পড়ে এমন যোগাসন অভ্যাস করবেন না। প্রাণায়ম করা যেতে পারে।

  • বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ছাড়া নিজে থেকে কোনও যোগব্যায়াম করবেন না।

  • বয়স ও রোগ অনুযায়ী কোন কোন আসন করা দরকার তার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে অভ্যাস করাই ভাল। 

  • যোগব্যায়ামের সময়ে ঢিলেঢালা জামা-কাপড় পরার দিকে নজর রাখুন। জুতো পরবেন না। 

  • আসন করার পরই সঙ্গে সঙ্গে স্নান করা উচিত নয়। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তার পর স্নান করুন। 

  • ঋতুকালীন সময়ে মহিলারা কঠিন আসন এড়িয়ে চলুন। ফ্রি-হ্যান্ড বা শ্বাস-প্রশ্বাসের হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে। 

  • ভরাপেটে যোগাসন করা উচিত নয়। পেট ভরে খাবার খাওয়ার আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার আগে ব্যায়াম করবেন না। অল্প কিছু খাওয়ারর আধ ঘণ্টা পর যোগাসন করা যেতে পারে। 

  • আসন অভ্যাস করার সময়ে অতিরিক্ত জল খাবেন না।

  • এই সময়ে বেশি কথা বলা এড়িয়ে চলুন।

  • তিরিশের বেশি বয়সের ব্যক্তিদের কঠিন আসন করা উচিত নয়। 


(ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।)