কলকাতা: সারা বিশ্বে প্রায় ৪২৫ মিলিয়ন ব্যক্তি সুগারের সমস্যায় ভুগছেন। সুগারের সমস্যায় খাওয়াদাওয়ায় অনেক বাধানিষেধ। একই সঙ্গে রোগ সামাল দিতে অনেকে নানা টোটকায় ভরসা রাখেন। কোন খাবার বা পানীয় খেলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তারই হদিস চলে সারাক্ষণ। তবে এত ঝামেলার মধ্যে না গিয়েও খুব সাধারণ একটি পানীয়তেই ভরসা করতে পারেন। সেটি খেতে গেলে বানানোর ঝক্কি নেই। পাশাপাশি কেনার ঝামেলাও খুব কম। তাছাড়া, সবসময় হাতের কাছেই পাওয়া যায় এই বিশেষ পানীয়। পানীয়টি আর কিছুই নয়, জল।
জল খেলেই কমবে ডায়াবেটিস ?
হ্যাঁ। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নিউট্রিশন রিসার্চ জার্নালের একটি গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায়, জল কম খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। অন্যদিকে এই কারণে, মেটাবলিক রেটও ধীরগতির হয়ে যেতে থাকে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ে আরকানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণায় দেখা যায়, অনেকেরই গোটা দিনে কম জল খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এই বাতিকই আসলে মেটাবলিক সিনড্রোম বা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মেটাবলিক সিনড্রোমের তালিকায় বড় নাম হল ডায়াবেটিস। এই কারণে ডায়াবেটিসকে লাইফস্টাইল ডিজিজও বলা হয়।
জল কম খেলে ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে !
আমেরিকান ডায়েবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জল কম খেলে মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ভ্যাসোপ্রেসিনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যার কারণে রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়।
জল কীভাবে সুগার মাত্রা কমায় ?
- ডিহাইড্রেশনের মাত্রা কমিয়ে সুগার নিয়ন্ত্রণ করে জল। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে সুগারের আশঙ্কা বেড়ে যায়। আবার উচ্চমাত্রায় সুগার যাদের রয়েছে, তাদের শরীরে জলের পরিমাণ কম থাকে। ডায়াবেটিস মেলিটাস যাদের রয়েছে, তাদের এই আশঙ্কা বেশি। জল খেলে সেই বিপদ অনেকটাই কমে।
- কিছু গবেষকের কথায়, জল কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। কিডনির মধ্যে অসংখ্য রক্তজালিকা থাকে। এগুলির মধ্যে দিয়ে শরীরের বর্জ্য পদার্থ পরিশ্রুত হয়ে বাইরে বেরিয়ে যায়। কিন্তু সাধারণ অবস্থায় রক্তের সুগার খুব অল্প মাত্রায় নির্গত হয়। জল বেশি খেলে রক্তের অতিরিক্ত সুগার কিডনি পরিশ্রুত করে বার করে দেয়।
কতটা জল খাবেন রোজ ?
- রক্তের সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরুষদের রোজ ২ লিটার জল খেতে হবে। ২০০ মিলিলিটারের গ্লাস হলে দিনে ১০ গ্লাস জল খাওয়া জরুরি।
- অন্যদিকে মহিলাদের রোজ ১.৬ লিটার জল খেতে হবে। ২০০ মিলিলিটারের গ্লাস হলে দিনে ৮ গ্লাস জল খাওয়া জরুরি।
ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন - Acidity Instant Relief: অ্যাসিডিটির ঠেলায় গলা, বুক জ্বলছে ? ৫ ঘরোয়া উপাদানেই চটজলদি আরাম পাবেন