কলকাতা : ভীষণই ভোজনরসিক তিনি। খেতে ভালবাসেন। ভালবাসেন খাওয়াতেও। ইদানীংকালে ফিটনেসের জন্য খাওয়া-দাওয়ায় একটু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। তবু পুজোআচ্চা বা পারিবারিক জমায়েতে তাঁর হাতে খাওয়া সকলের চাই-ই চাই। তিনি অপরাজিতা আঢ্য। পুজোর খাওয়াদাওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন, পুজোর সময় বাড়িতে ভাল ভাল রান্নাবান্না করেন। আর শুধু পুজো কেন, বছরের যে কোনও সময়ই অপরাজিতার হাতের গুণের তারিফ করেন প্রত্যেকেই। তবে পুজোর সময় নবরাত্রিপালন করেন তিনি। তাই বেশিরভাগ দিনই খান নিরামিষ। এবিপি লাইভের সঙ্গে আড্ডায় অপরাজিতা বললেন, মিষ্টি খাওয়ায় বাধানিষেধ না থাকলে ট্রাই করতে পারেন পোলাও ! না, যে-সে পোলাও নয়, শেষপাতে পোলাও। মেনকোর্স হিসেবে নয়, পোলাও দিয়ে মিষ্টিমুখের আইডিয়া শেয়ার করলেন তিনি। রেসিপিটাও বেশ সহজ। কীভাবে?
- প্রথমেই বলে রাখা ভাল, হাঁড়িতে রান্না করুন, কুকারে নয় !
- ভাল করে ঘি-তে ভেজে নিন কাজু কিশমিশ ।
- চাল আগে থেকে ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর জল ছেঁকে ফেলে দিতে হবে।
- এরপর বাসমতী চালও ঘি-তে নেড়ে নিতে হবে।
- আপনি যা যা ফল পছন্দ করেন, তা টুকরো করে চিনির রসে আগে থেকে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন।
- এরপর কাজু, কিশমিশ আর চাল একসঙ্গে নেড়ে নিতে হবে।
- একটু বেশি করে জাফরান দিন।
- তার উপর আবার ভাতের স্তর তৈরি করুন।
- এর উপর রসে ভেজানো ফলগুলি ছড়িয়ে দিন।
- এর উপর ছড়িয়ে দিন খোয়া ক্ষীর।
- খোয়া ক্ষীরের উপর ঢালুন দুধ।
- চিনি ছড়িয়ে দিন পরিমান মতো।
- ৩০ মিনিট দমে রাখার পর নেড়ে নামিয়ে নিন।
এই পদটি খেতে হবে ডেসার্ট হিসেবে। মেনকোর্স হিসেবে নয়। এছাড়াও অপরাজিতা জানালেন বিজয়া দশমীতে তাঁর শ্বাশুড়ি মায়ের হাতে রান্না করা নারকেল দিয়ে ঘুঘনি। আর কুচো নিমকি । অপরাজিতা জানালেন, এই বছর শ্বশুরমশাইক হারিয়েছেন তিনি। হারিয়েছেন অনেক চেনা মানুষকেও। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এই পুজোটা একটু ম্লানই কাটবে অপরাজিতার। তবুও সকলকে ভাল থাকার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।