স্ট্রোক একটি গুরুতর রোগ, যা হঠাৎ করেই ধাক্কা দিয়ে ওলটপালট করে দেয় জীবন। লক্ষণ উপেক্ষা করলে মারাত্মক হতে পারে। স্ট্রোক একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সঙ্কট। প্রতি বছর সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ মানুষ স্ট্রোক আক্রান্ত হন। আর ফলাফল মারাত্মক হয়। সমীক্ষা বলছে, ৩০-৩৫ বছর বয়সের পর থেকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। স্ট্রোক মানে মস্তিষ্কের কোনও অংশে হঠাৎ রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যাওয়া। এর ফলে সেই অংশে আর অক্সিজেন পৌঁছোয় না। অক্সিজেনের অভাবে মস্তিষ্কের সেই অংশের কোষগুলির মৃত্যু হয়। অনেকে হয়ত মনে করেন, স্ট্রোক হঠাৎ করে আসে। তবে প্রাথমিক লক্ষণগুলো জানা থাকলে বড় ক্ষতি এড়ানো যেতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই লক্ষণ ও সংকেতগুলো কী কী।
স্ট্রোক কী?
যখন মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহ হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় বা ব্যাহত হয় , তখন স্ট্রোক হয়। WHO এবং আমেরিকান স্ট্রোক অ্যাসোসিয়েশন উভয়ই মনে করে যে প্রাথমিক লক্ষণগুলো সনাক্ত করা এবং দ্রুত চিকিৎসা সাহায্য নেওয়া জীবন বাঁচানো এবং পঙ্গুত্ব থেকে বাঁচার সবচেয়ে বড় উপায়।
এর লক্ষণগুলো কী কী?
অন্যান্য রোগের মতো, শরীরেও এর কিছু লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। এগুলো হঠাৎ করে আসলেও, তাদের আসার আগে কিছু সংকেত দেখা যায়। যেমন হঠাৎ এবং তীব্র মাথাব্যথা, যা আগে কখনো হয়নি, ঝাপসা বা ডবল ভিশন, মুখ, হাত বা পায়ে ঝিনঝিন বা অসাড়তা, বিশেষ করে শরীরের এক অংশে, কথা বলতে অসুবিধা বা শব্দগুলো স্পষ্ট না হওয়া, হঠাৎ ভারসাম্য হারানো বা হাঁটতে সমস্যা, মুখের এক অংশ ঝুলে যাওয়া এবং হঠাৎ বিভ্রান্তি, স্মৃতিশক্তি হ্রাস বা কথা বলতে গিয়ে জড়়িয়ে যাওয়া ইত্যাদি। কারও যদি এই ধরনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে আপনার সতর্ক হওয়া দরকার।
যে যে কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়তে পারে -
- টেনশন
- রক্তের উচ্চচাপের চিকিৎসা না হওয়া
- ডায়াবেটিসের চোরা আক্রমণ
- কোলেস্টেরল, লিপিড প্রোফাইল চেক না করা
- ইসিজি না করা এর ফলেই বাড়ে ব্রেন স্ট্রোকের প্রবণতা ।
দাবিত্যাগ: এই তথ্য গবেষণা এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এটিকে চিকিৎসা পরামর্শ হিসাবে বিবেচনা করবেন না। কোনো নতুন কার্যকলাপ বা ব্যায়াম শুরু করার আগে আপনার ডাক্তারের বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।