কলকাতা: শীত প্রায় আসন্ন। হাওয়ায় এখন ঠান্ডা আমেজ। পাশাপাশি শুকনো হচ্ছে আবহাওয়া। এই সময়েই সমস্যা পোহাতে হয় শুষ্ক ত্বকের। শুষ্ক ত্বকের কারণে নাজেহাল হতে হয় সবাইকে। সুরাহা পেতে অনেকেই ভরসা করেন বিভিন্ন তেল, ময়শ্চারাইজারের উপর। ত্বক ময়শ্চারাইজড রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে ত্বকে ক্রিম ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। শুধু মুখে ক্রিম লাগালেই হবে না। রুক্ষ ও শুষ্ক ভাবে সারা শরীরের ত্বকেই দেখা দেবে। অতএব ফেস ক্রিমের পাশাপাশি বডি লোশনও আপনার সঙ্গী হওয়া প্রয়োজন। এগুলি ছাড়াও, ডায়েটে সামান্য খেয়াল রাখলেও মেলে নানা উপকার। কিন্তু কী কী থাকবে সেই ডায়েটে? শুষ্ক ত্বকের সমস্য়া এড়াতে কী কী করা উচিত?
       
পর্যাপ্ত জল প্রয়োজন:
গরম কম থাকে। সেই কারণেই তেষ্টাও কম পায়। ফলে শীতকালে তুলনায় অনেকটাই কম জল খাওয়া হয়। কম জল খাওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়ে ত্বকের  স্বাস্থ্যে। খুব দ্রুত শুকিয়ে যায় ত্বক। এই সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়াতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। 


মাছে অনীহা:
অনেকেরই মাছে অনীহা রয়েছে। পাতে নিয়মিত মাছ না থাকলে ত্বকে শুষ্কভাবে সমস্যা আসে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন প্রতি সপ্তাহে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাছ খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রয়োজনীয় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ডিএইচএ (DHA) মেলে মাছ থেকে। শীতকালে ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে মাছ খাওয়া প্রয়োজন। চোখ, হৃদযন্ত্রের জন্যও প্রয়োজন মাছ। 


বন্ধ করতে হবে মদ্যপান:
যাঁদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে তাঁদের তা ছাড়তেই হবে। প্রয়োজনে কমিয়ে ফেলতে হবে। অ্যালকোহলের কারণে শরীরের ডিহাইড্রেশন হয়। শীতকালে যা সমস্যার কারণ।


কুসুম বাদ নয়:
অনেকেই পুষ্টির জন্য ডিম খান। কিন্তু কুসুম বাদ দিয়ে খান অনেকে। কুসুমে একাধিক ভিটামিন থাকে। মেলে আরও নানা ধরনের পোষক পদার্থ। যার সঙ্গে ত্বকে স্বাস্থ্যের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ত্বক ভাল রাখতে কুসুম বাদ না দেওয়াই ভাল। 


কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার:
ত্বক ভাল রাখতে প্রয়োজন কোলাজেন সমৃদ্ধ খাবার। মাংস কোলাজেনের অত্যন্ত ভাল উৎস। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: ব্লাড সুগারের সমস্যা? পাতে চিজ রাখা যাবে?