ডালাস, আমেরিকা: আদতে বিদেশি ফল। কিন্তু এখন ভারতেও (India) যথেষ্ট পরিচিত। অ্যাভোকাডোর (Avocado) বিভিন্ন গুণের জন্যই বেশ ভালরকম কদর রয়েছে এই ফলের। এখন নতুন একটি গবেষণার দৌলতে আরও সামনে এল অ্যাভোক্যাডোর আরও একটি গুণ। সপ্তাহে অন্তত দুটি গোটা অ্যাভোকাডো খেলে একাধিক হৃদরোগের বা কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে।    


কোথায় প্রকাশিত:
জার্নাল অফ দি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশেন (Journal of the American Heart Association)-এ প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি। 


কী বলছে গবেষণা:
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার (Fiber) রয়েছে। আনস্যাচুরেটেড (Undaturated) ফ্যাট রয়েছে। বিশেষ করে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট যা শরীরের জন্য উপকারী। এই পদার্থগুলির উপস্থিতির জন্য হৃদযন্ত্রের সমস্যার ঝুঁকি কমিয়ে দেয় অ্যাভোকাডো। এর আগেও এই নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল (Clinical Trial) হয়েছে। সেখানেও হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অ্যাভোকাডোর গুণ রয়েছে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। এই গবেষণার তারই স্বপক্ষে প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি গবেষকদের। অ্যাভোকাডো খাওয়ার সঙ্গে হৃদপিণ্ডজনিত রোগের ঝুঁকির ব্যাস্তানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। 


হার্ভাড টি এইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ ইন বস্টনের (Harvard T.H. Chan School of Public Health) লোরেনা এস প্যাচেচো (Lorena S. Pachecho) মূল গবেষক। তিনি বলেন, 'আমাদের গবেষণা বলছে উদ্ভিদ থেকে পাওয়া আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট কার্ডিওভাস্কুলার রোগ রুখতে অত্যন্ত কার্যকর।' ৬৮৭৮০ জন মহিলা এবং ৪১৭০০ জন পুরুষের উপর পরীক্ষা হয়েছে। সকলেই আমেরিকার বাসিন্দা। কয়েক দশকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য গবেষণায় (Research) ব্যবহার করা হয়েছে। যখন গবেষণা শুরু হয়েছে তখন কারও ক্যানসার, হার্টের রোগ বা স্ট্রোকের সমস্যা ছিল না।  যাঁরা সপ্তাহে অন্তত দুটি অ্যাভোকাডো খেয়েছেন। তাঁদের কার্ডিওভাস্কুলার (Cardiovascular) রোগের ঝুঁকি অন্তত ১৬ শতাংশ কম। করোনারি হার্টের সমস্যাও অন্তত ২১ শতাংশ কমে যায়। ঘি, মাখন, চিজ বা প্রক্রিয়াজাত মাংস  যা খাওয়া হয় তা পরিমাণ অর্ধেক করে সেখানে অ্যাভোকাডো আনলে অনেক কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।  


আরও পড়ুন:  ইনজেকশনেই শরীরে তৈরি হবে হাড়! আইআইটি অধ্যাপকের আবিষ্কারে চমক