কলকাতা: একজিমার সমস্যায় আট থেকে আশি অনেকেই ভোগেন। ছোটদের মধ্যে এই রোগটি প্রায়ই দেখা যায়। এর জন্য় নিয়মিত চিকিৎসকের ওষুধও ব্যবহার করতে হয় অনেককে। কিন্তু একজিমা কি সত্যিই সারে? এই বিষয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জেনে নেওয়া যাক বিশদে।


একজিমা কী?


এই চর্মরোগে ত্বক শুষ্ক ও কিছুটা ফুলে ওঠে। আক্রান্ত অংশে চুলকানি হতে থাকে। ত্বক আমাদের বাইরের ধুলোবালি, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। একজিমা হলে ত্বকের সেই স্বাভাবিক প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কমে যায়। একজিমাকে চিকিৎসকরা ডার্মাটাইটিস গোত্রের চর্মরোগ বলেন। কারণ এই রোগে ত্বকের ইরিটেশন হয়।


একজিমার বিভিন্ন ধরন (eczema types)


একজিমা বেশ কয়েকরকমের হতে পারে। যেমন, অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস, নিউরোডার্মাটাইটিস, নিউমুলার একজিমা, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, ডিসিড্রটিক ডার্মাটাইটিস।


কী কী উপসর্গ দেখা যায় একজিমা রোগে (eczema symptoms)?


একজিমার উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে শুষ্ক ত্বক, ঘন ঘন চুলকানি, ত্বকে র‌্যাশ, ফোলাফোলা ভাব, খসখসে ত্বক ও ত্বকের উপরিভাগ ফুলে ওঠা। একজিমার রং একরকম হয় না। বরং গাত্রবর্ণ অনুযায়ী এই রং পাল্টে যায়। সাধারণত বেগুনি, বাদামি ও ধূসর রঙের একজিমা দেখা দিতে পারে আপনার ত্বকে।


একজিমা কি সারে (Is eczema curable)?


একজিমা সারে কি না সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই মনে আসতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই চর্মরোগটি সারানোর মতো চিকিৎসা এখনও পাওয়া যায়নি। রোগটির কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। তবে তাতে পুরো রোগটি সারে না। তাই সম্পূর্ণ রোগটি সারানোর মতো কোনও ওষুধ এখনও নেই। বিশেষজ্ঞদের কথায় এটি একটি ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ সারা জীবনই এই রোগটি চলতে পারে। তাহলে কী ধরনের চিকিৎসা এই রোগের জন্য করা হয়ে থাকে। মূলত উপসর্গগুলির চিকিৎসাই করেন চিকিৎসকরা। একজিমার মূল উপসর্গ শুষ্ক ত্বক ও চুলকানি কমানোর ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন ডাক্তাররা। তবে একজিমা হওয়া কিন্তু আটকানো সম্ভব। এর জন্য কিছু জিনিস মেনে চলা জরুরি।


একজিমা প্রতিরোধের উপায় (Eczema prevention)



  • নিয়মিত ত্বক আর্দ্র রাখা জরুরি। স্নানের পর আর্দ্রতা যাতে হারিয়ে না যায়, তাই ময়শ্চারাইজার মাখতে পারেন।

  • কটন ও যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি জামাকাপড় পরা ভাল। কোনও জামাকাপড় প্রথমবার পরার আগে ধুয়ে নিন।

  • হালকা গরম জল দিয়ে নিয়মিত স্নান করুন। জল যেন খুব গরম না হয়।

  • দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। রোজ অন্তত আট গ্লাস জল খাওয়া জরুরি।


ডিসক্লেমার : সবার স্বাস্থ্যের ধরণ সমান নয়। তাই উল্লেখিত পরামর্শ প্রয়োগের আগে বিশেষজ্ঞ বা চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন। 


আরও পড়ুন: Cervical Cancer: কীভাবে ধরা পড়ে সার্ভিক্যাল ক্যানসার, নিরাময় সম্ভব ?