Binge Watching: অনেকেরই ওয়েব সিরিজ (Web Series) দেখার মারাত্মক নেশা রয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি বা মোবাইলের সামনে বসে সময় কাটিয়ে দেন অনেকেই। লক্ষ্য একটাই- ওয়েব সিরিজের এটার পর একটা এপিসোড দেখে যাওয়া। প্রাথমিক পর্যায়ের সাময়িক ভালো লাগা যে কখন নেশায় পরিণত হবে সেটা আপনি টেরও পাবেন না। রাত জেগে সিনেমা, সিরিজ দেখার দৌলতে একাধিক সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের। রাতে ঠিকভাবে ঘুম হয় না। সারাদিন শরীরে থাকে ক্লান্তি এবং আলস্য। কাজের প্রতি অনীহা জন্মায়। অল্প পরিশ্রমেই অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তাই এই বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের (Binge Watching) নেশা কাটানো উচিত অবিলম্বে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে বাড়িতেই সাধারণ কয়েকটা কাজের মাধ্যমে আমরা বিঞ্জ ওয়াচ করার প্রবণতা কমাতে পারি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিঞ্জ ওয়াচ করতে বসলে অদ্ভুত ভাবেই ক্লান্তি দূরে সরে যায়। কারণ এই সময় ডোপামিন নির্গত হয়। তার ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিভি বা ফোনের সামনে অনায়াসে কাটিয়ে দিতে পারেন আপনি। যদিও পরবর্তীতে সমস্যা দেখা যায়।


নিজেকে যুক্ত রাখুন বিভিন্ন কাজে- বিভিন্ন কাজে নিজেকে যুক্ত বা ব্যস্ত রাখলে আর টানা সিরিজ, সিনেমা দেখার সময় থাকবে না। তাই কিছুটা হলেও নেশা কমবে। আপনি জিম করতে পারেন। বাড়িতেই যোগাসন বা বিভিন্ন ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারেন। অনেকের বাগানের শখ রয়েছে। সেখানেও সময় দিতে পারেন। এর ফলে আপনার মনঃসংযোগ বিঞ্জ ওয়াচিং থেকে সরে অন্যদিকে যাবে।


অ্যাপ ব্লকারের ব্যবহার- অ্যাপ ব্লকার বলে একটি প্রযুক্তি রয়েছে। এর ব্যবহার করতে পারেন। এই অ্যাপ ব্লকার ফিচার বিভিন্ন অ্যাপের ক্ষেত্রে আপনার স্ক্রিন টাইম নির্দিষ্ট বা সীমিত করে দেবে। প্রতিদিনের নিরিখে ওই সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করলে আপনি আর ওই অ্যাপে কোনও কনটেন্ট দেখতে পাবেন না। 


ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট- ওয়েব সিরিজ কিংবা সিনেমা দেখতে বসলে নিজের ফোনে রিমাইন্ডার বা অ্যালার্ম সেট করে রাখুন। এর ফলে একটানা নাগাড়ে কিছু দেখে যাওয়ার অভ্যাস থেক দূরে থাকবেন আপনি।


অটো প্লে অপশন অবিলম্বে বন্ধ করুন- যে সমস্ত স্ট্রিমিং অ্যাপে আপনি সিনেমা, ওয়েব সিরিজ ইত্যাদি দেখেন সেখানে সেটিংসে গিয়ে অটো-প্লে অপশন বন্ধ করে দিন। এর মাধ্যমেও বিঞ্জ ওয়াচিংয়ের প্রবণতা কিছুটা কমাতে পারবেন আপনি। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা কেন দেখা দেয়? কী কী খাবার খেলে দূরে থাকবে এই রোগ?