Osteoporosis: অস্টিওপোরোসিস (Osteoporosis)- এই সমস্যায় আজকাল অনেকেই ভুক্তভোগী। অস্টিওপোরোসিস মূলত হাড়ের সমস্যা (Bone Health Problems)। মানবদেহে থাকা হাড়ের মধ্যের খনিজের (Bone Minerals) পরিমাণ এবং বোন মাস যখন কমতে থাকে তখন হাড় ক্রমশ ক্ষয় হওয়া শুরু হয়। হাড়ের গঠন (Bone Structure) এবং গুণমানেও পরিবর্তন আসে। অস্টিওপোরোসিসের কারণে হাড়ের শক্তি ক্ষয় হয়। আর তার ফলে খুব সহজে হাড় ভেঙে যাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই সমস্যা এড়ানোর জন্য খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। কোন কোন জিনিস খেলে হাড়ের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব হবে, একঝলকে দেখে নিন। হাড়ের ব্যথা বাড়লে কিংবা যেকোনও সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। 


মাছ- মাছের মধ্যে রয়েছে ভরপুর প্রোটিন। এছাড়াও রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আর রয়েছে ক্যালসিয়াম। মাছের মধ্যে থাকা এই তিনটি উপকরণই হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করতে, হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।


ডিম- ডিমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন ডি রয়েছে। এই দুই উপকরণ আপনার হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম অ্যাবসরপশন হতে সাহায্য করে। আর হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সঠিক মাত্রায় থাকলে তার গঠন এবং গুণমান দুটোই ভাল থাকবে। অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনাও কিছুটা কমবে। হাড় সহজে ভেঙে যাবে না কিংবা ক্ষয় হবে না। 


নাটস অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের বাদাম- বিভিন্ন ধরনের বাদামের মধ্যে আমন্ড এবং আখরোটে রয়েছে ওমেগা ৩ এবং ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক। বোন ডেনসিটি বাড়াতে এই সমস্ত উপকরণ কাজে লাগে। বোন ডেনসিটি বৃদ্ধি পাওয়ার অর্থ হল বোন মাস ক্ষয় হবে না। ফলে হাড়ের গঠন শক্ত থাকবে। অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।


তোফু- তোফুর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়াও থাকে আইসোফ্ল্যাভোনয়েডস। এইসব উপকরণের সাহায্যে মানবদেহের হাড়ের গঠন ভাল থাকে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে, অস্টিওপোরোসিস থেকে আপনাকে দূরে রাখে।


দুধ- ক্যালসিয়ামের ভাণ্ডার এই পানীয়। বোন ডেনসিটি ঠিক রাখতে ক্যালসিয়ামের জুড়ি মেলা ভার। তাই রোজ একগ্লাস দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কার হাড়ের গঠন ঠিক রাখতে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না। অতএব দুধ খাওয়া দরকার। এর ফলে আপনার অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।


দানাশস্য- এছাড়াও খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের দানাশস্য। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। প্রোটিন মূলত বোন মিনারেলস ডেনসিটি অর্থাৎ হাড়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের খনিজ পদার্থে সঠিক মাত্রায় বজায় রাখতে সাহায্য করে। আর তার ফলে হাড় সহজে ক্ষয়ে যায় না কিংবা ভেঙে যায় না।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- বাড়ির নয় বাইরের খাবারেই ঝোঁক! সন্তানের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে কী করবেন?