কলকাতা: কম বেশি ত্বকের সমস্যা (Skin Problem) আমাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে। আবহাওয়া, ধুলো, ধোঁয়া, ধূষণ এবং আরও নানা কারণে ত্বকে রিঙ্ক, ব্রণ, অ্যাকনে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লাইফস্টাইল থেকে খাদ্যাভ্যাস, বিভিন্ন কারণে একজন ২৫ বছর বয়সী ব্যক্তির ত্বকও ৭০ বছরের ব্যক্তির ত্বকের মতো লাগতে পারে। নিয়মিত কিছু উপায় মেনে চললে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। তাঁদের মতে, নিয়মিত ত্বকের যত্ন না নিলেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোন বয়সে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা-


কুড়ি বছর বয়স হলে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন- (Skin Care Tips)
১. তৈলাক্ত ত্বক হোক কিংবা শুষ্ক ত্বক, নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা খুবই জরুরি। ত্বকের প্রকৃতি অনুযায়ী বেছে নিতে হবে ময়শ্চারাইজার।


২. ত্বকের কী কী সমস্যা রয়েছে, সেগুলো সম্পর্কে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।


৩. এই সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে ব্ল্যাকহেডসের সমস্যা দেখা দেয়। যা শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে হয়।


৪. সঠিক লাইফস্টাইল, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ত্বক সুস্থ রাখার জন্য খুবই জরুরি।


আরও পড়ুন - HD Makeup: রূপসজ্জায় মেকআপ তো করছেন, HD মেকআপ সম্পর্কে জানা আছে?


৫. মেকআপ করার পর ঘুমতে যাওয়ার সময় অবশ্যই তা সঠিকভাবে তুলে ফেলা দরকার।


৬. দিনের বেলায় বাড়ির বাইরে বেরনোর সময় সবসময় ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন।


৭. সানস্ক্রিন ব্যবহারের সময় অবশ্যই দেখে নেওয়া প্রয়োজন সেটি সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধ করতে পারে কিনা।


৮. ত্বকে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


বয়স তিরিশের কোঠায় পৌঁছলে যেভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন-
১. এই বয়সে ত্বকের যত্নে আরও বেশি নজর দেওয়া প্রয়োজন।


২. নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেওয়া ছাড়াও নজর দিতে হবে খাদ্যাভ্যাসে।


চল্লিশ বছর বয়স হলে কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন-
১. এই সময়ে ত্বকে রিঙ্কল পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ত্বকে যাতে জলীয়ভাব বজায় থাকে, সেদিকে নজর দেওয়া দরকার।


২. ত্বক সুস্থ রাখতে শরীরের ওজনের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।


৩. প্রতিমাসে ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যাওয়া দরকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।