কলকাতা: করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতিতে আরও বেশি করে মধুমেহ (Diabetes) রোগের দিকে নজর দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। যাঁদের শরীরে ইতিমধ্যেই মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদেরকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার কথা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ হিসেবে তাঁদের মত, করোনার সংক্রমণ এবং প্রাণহানীর ঝুঁকিকে আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয় মধুমেহ। এছাড়াও, বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মধুমেহ এমন একটা অসুখ, যা একবার শরীরের জাল বিস্তার করতে শুরু করলে তা থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই কখনও পাওয়া যায় না। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য লাইফস্টাইল এবং খাদ্যাভ্যাসের দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। একটু অমনোযোগী হয়ে পড়লেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাবে এবং তা কখনও কখনও মারাত্মকও হয়ে ওঠে।
মধুমেহ রোগের লক্ষণ-
সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা মধুমেহ (Diabetes) রোগের নতুন কিছু লক্ষণের কথাও জানাচ্ছেন। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে অন্যান্য উপসর্গগুলির পাশাপাশি মুখেও বেশ কিছু ইনফেকশন বা লক্ষণ দেখা দেয়। যা দেখে বুঝতে হবে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়েছে। মুখে কোন কোন লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হওয়া প্রয়োজন, তা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন - Winter Health: অন্যদের থেকে বেশি ঠান্ডা লাগছে? এই অসুখগুলিতে আক্রান্ত নন তো?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কারও যদি সারাদিনের মধ্যে অনেকটা সময়ই বারেবারে মুখ শুকিয়ে যেতে থাকে, তাহলে তা চিন্তার বিষয়। তাঁদের মতে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে মুখ শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়। মুখে স্যালাইভার মাত্রা কমে যায়। তাই যদি মুখ, জিভ এবং মাড়ি মাধেমধ্যেই শুকিয়ে যেতে থাকে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা প্রয়োজন।
মুখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা শুধু মধুমেহ রোগেরই ইঙ্গিত দেয় না। তার সঙ্গে আরও বেশ কিছু অসুখের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা যেমন স্যালাইভা উৎপাদনে প্রভাব ফেলে, তেমনই রক্ত সঞ্চালনেও প্রবাব ফেলে। তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, মধুমেহ রোগ ছাড়াও ডিহাইড্রেশন হলেও মুখ শুকিয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এছাড়াও, অত্যধিক ধূমপান করলে, স্নায়ুর বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিলে এবং আরও বেশ কিছু রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে মুখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই যদি প্রায়শই মুখ শুকিয়ে যেতে থাকে, তাহলে এখনই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।