কলকাতা : বাড়ছে কাজের চাপ, এগিয়ে যাওয়ার ইঁদুর দৌড়ের চোটে বিঘ্নিত হচ্ছে জীবন-যাপনের ছন্দ। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম থেকে কম শারীরিক কসরত ডেকে আনছে অনেক রোগ। অল্প বয়সেই শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করেছে একাধিক মারাত্মক সমস্যা। যার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার (Fatty Liver)। ফ্যাটের পরিমাণ বাড়লে লিভার ফ্যাট নিজের মধ্যে স্টোর করতে পারে।
ঠিক কী সমস্যা ও লক্ষ্মণ
যদি অতিরিক্তি ফ্যাট আসে লিভারে, তখন তার কিছুটা জমা হয় লিভারে, কিছুটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গে স্থান পায়। তাতে একজন মানুষ স্থূলকায় হয়ে পড়েন। লিভারের অধিকাংশ কোষ যদি ফ্যাটের স্টোর হয়ে যায়, তখনই তাকে ফ্যাটি লিভার সিনড্রোম বলা হয়ে থাকে।
পেট ফুলে যাওয়া, প্লীহা বেড়ে যাওয়া, অনেক ক্ষেত্রে চোখে হলুদ ভাব সহ একাধিক লক্ষ্মণ দেখা যায় সেক্ষেত্রে।
Alcoholic fatty liver disease :
অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে যে অতিরিক্ত ক্যালরি । শরীরে জমা হয়, তার থেকে লিভার স্থূল হয়ে যায়।লিভারের কোষগুলি অতিরিক্ত ফ্যাটের ভাণ্ডার হয়ে ওঠে।
Nonalcoholic fatty liver disease :
নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিসিজ হয়ে থাকে অতিরিক্ত তেল-চর্বি জাতীয় ফ্যাটজাতীয় খাবার খেলে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনশৈলিতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। তার প্রাথমিক কয়েকটি হল -
- তেল-চর্বি, ঝাল, ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কমিয়ে আনুন ।
- খাবারের পরিমান শরীরের প্রয়োজন ও ক্যালরির খরচের সঙ্গে তাল রেখে নিয়ন্ত্রণ করুন।
- শহুরে জীবনযাত্রার অন্যতম অঙ্গ হয়ে গিয়েছে ফাস্ট ফুড । এই খাবারগুলি সহজপাচ্য তো নয়ই, উপরন্তু অপকারী ফ্যাটের সম্ভার।
- এড়িয়ে চলুন পেস্ট্রি -বার্গার.. এই জাতীয় খাবার ।
- অতিরিক্ত চিনি দেওয়া খাবার এড়িয়ে চলুন। প্যাকেজড ফ্রুট জুস খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
- সফট ড্রিঙ্ক এড়িয়ে চলুন।
- সেডেন্টারি লাইফ স্টাইল নয় ! ফ্যাট এনার্জি যোগায়। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি হলেই বিপত্তি। তাই অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে রোজ এক্সারসাইজ করুন। হাঁটুন। দরকারে জিমে যান।
কী করণীয়
এই ধরণের ক্ষেত্রে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত দরকার। পাশাপাশি তাদের পরামর্শ, পরিমিত আহার ও শারীরিক পরিশ্রম অনেক শারীরিক সমস্যা থেকেই দূরে রাখতে পারে।রোগভোগ থেকে দূরে থাকতে চাইলে শুধু ওষুধ নয়, জোর দিতে হবে শারীরিক কসরতেও।
চিকিৎসকদের পরামর্শ
লিভার ফাউন্ডেশনের চিফ মেন্টর তথা চিকিৎসক অভিজিত্ চৌধুরী বলেছেন, 'এখন মানুষ পরিশ্রম কম করছে। তার জন্য অল্প বয়েসেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তার মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি লিভার। এর জন্য কম খেতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে।'
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন- ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন? ডায়েটে রাখতে পারেন বিট, গুণ আরও অনেক