Firm Or Soft Pillow: রাতের ঘুম ঠিকমতো না হলে মন যেন খারাপ হয়ে যায়। কারণ সারাদিন কম ঘুমের জের নিয়ে চলতে হয়। শরীর দুর্বল লাগে। ক্লান্তিভাব আসে। আবার কাজের মাঝে মাঝে প্রায়ই ঘুম পেতে থাকে। এই সমস্যার সমাধানসূত্র কিন্তু লুকিয়ে থাকতে পারে বালিশের মধ্যে। বালিশের গড়ন আমাদের ঘুমের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে।


ঘুমের নেপথ্যে বালিশের ভূমিকা


১. ঘাড়ে ব্যথা - বালিশ ঠিক সাইজের না হলে আমাদের ঘাড়ে ব্যথা হয়। ঘাড়ে ব্যথার জেরে মাঝে মাঝেই ঘুম ভেঙে যায়। কখনও কখনও ব্যথা এতটাই অসহ্য হয় যে  ঘুমের বারোটা বেজে যায়।


২. কাঁধের ব্যথা - শুধু ঘাড়ের ব্যথা নয়, কাঁধের ব্যথাও ভোগাতে পারে। অনেকেই পাশ ফিরে শুতে ভালবাসেন। পাশ ফিরে শোওয়া ঘুমের জন্য় ভালও। কিন্তু বালিশের দোষে পাশ ফিরে থাকা কাঁধটিতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতে পারে। যা ঘুমের ভাল প্রভাব নষ্ট করে।


৩. পিঠের ব্যথা - চিৎ হয়ে শুলে এই ব্যথা হতে পারে। হবেই এমন কথা নেই। কিন্তু বালিশ ঠিকঠাক না থাকলে এই সমস্যা হতে পারে। তাই ব্যথাটা শুধু যে ঘাড়ে হয়, তা নয়। বরং অন্যান্য বেশ কিছু অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


কোন বালিশে ভাল হবে ঘুম ?


কে কীভাবে ঘুমোন, তার উপর নির্ভর করে কোন ধরনের বালিশ আপনার জন্য সেরা। 


পাশ ফিরে শোওয়া - প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ পাশ ফিরে শোন। তাই এক্ষেত্রে শক্ত বালিশ নেওয়াই ভাল। বালিশ শক্ত হলে মাথা ও ঘাড়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে। তবে বালিশ যেন খুব বেশি উঁচু না হয়। তাহলে শুতে সমস্যা হতে পারে। 


চিৎ হয়ে শোওয়া - যারা চিৎ হয়ে শোন, তাদের অনেকই স্লিপ অ্যাপনিয়াতে ভোগেন। নাক ডাকার অভ্যাসও থাকে তাদের। আবার শ্বাসকষ্টের সমস্যাও হতে পারে। কারণ চিৎ হয়ে শুলে জিভ ভিতরের দিকে চলে যায়। যার ফলে শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই চিৎ হয়ে শোওয়ার জন্য শক্ত বালিশ ভাল। শরীরের উপর অংশ একটু উঁচু থাকে, এমন ব্যবস্থা করে নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল হয়।


ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Finger Cracking Effects: ঘনঘন আঙুল মটকানো অভ্যাস ? সাতপাঁচ ভেবেছেন ?


আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।