কলকাতা: দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার মন ‘খাই খাই’ করে। রোজ দুপুর ও রাতের প্রধান খাবার বাদ দিয়েও অন্য সময় কিছু না কিছু খেতে ইচ্ছে করে। আর এই তাড়নাতেই খাওয়া হয়ে যায় বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, চিপস ইত্যাদি। মাঝে মাঝে মাঝরাতেও খিদে পায়। তখনও এই ধরনের খাবার খেতে ইচ্ছে করে অনেকের। যাকে বলে বিঞ্জ ইটিং (Binge Eating)। 


ধীরে ধীরে এই খাবারের লোভ সামলানো মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। যেন নেশা হয়ে যাচ্ছে এই ধরনের খাবার। যার ফলে কিছু দিন পরেই লিভার ও পেটের নানা রোগে ভোগা শুরু হয়। ফাস্ট ফুড বা জাঙ্ক ফুড (Junk Food) খাওয়ার লোভ সহজেই কমানো সম্ভব। এর জন্য কিছু সহজ টিপস মনে রাখতে হবে।


জাঙ্ক ফুডের লোভ এড়ানোর টিপস (How to avoid junk food):



  • খাওয়াদাওয়ার রুটিন: প্রথমেই গোটা দিনের খাওয়াদাওয়ার একটি রুটিন মাথায় ছক কষে নিতে হবে। কখন কী খাবেন, কোনও অনুষ্ঠান থাকলে কী খাওয়া হতে পারে, সেই পরিকল্পনা করে নিন। এর পর সেই রুটিন মেনে চলার চেষ্টা করুন। সাধারণত জাঙ্ক ফুড আমরা পরিকল্পনা করে খাই না। তাই সেগুলিকে রুটিনে কমাতে শুরু করুন।

  • স্বাস্থ্যকর খাবার: ঘন ঘন খিদে পাওয়াকে সুগার ক্রেভিংসও বলা হয়। কারণ এই সময় আমরা কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার বেশি খাই। এই ধরনের স্ন্যাকসের বদলে পাতে রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর খাবার। যেমন ছোলা, বাদাম শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।

  • প্রোটিন ও ফাইবার: প্রোটিন ও ফাইবার অনেকটা সময় পেট ভরিয়ে রাখে। তাই এই ধরনের খাবার পাতে বেশি করে রাখুন। এতে সহজে খিদে পাবে না।

  • পর্যাপ্ত ঘুম: অপর্যাপ্ত ঘুম থেকেও অতিরিক্ত খিদে পেতে পারে। রোজ ছয় থেকে সাত ঘন্টার গভীর ঘুম জরুরি। তাই খাওয়ার বদলে ঘুমের উপরেও জোর দিতে হবে।

  • জল বেশি খান: অনেক সময় জল তেষ্টার অনুভূতিকেই খিদের অনুভূতি বলে ধরে নেন অনেকে। এর ফলে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার হার বেড়ে যায়। এর চক্করে জল খাওয়ার হার কমে যায়। তাই দিনে নির্দিষ্ট পরিমাণ জল রোজ খাওয়া উচিত।


একবারে কোনও অভ্যাস পাল্টে ফেলা মুশকিল। তাই অল্প অল্প করে খাওয়া ছাড়তে হবে। প্রথমে দুদিন অন্তর, তার পর সপ্তাহে দুবার, তার পর সপ্তাহে একবার, এভাবে খাওয়া কমান।


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন - Black Rice Benefits: লিভার আর হার্ট দুইই রাখে চাঙ্গা ! এই চাল পাতে রাখলে ভুলে যাবেন রোগের নাম