কলকাতা: 'দুধ না খেলে...' জনপ্রিয় এই বাংলা গান এখনও মনে হয়েছে যুবক থেকে প্রৌঢ় অনেকেরই। গানটির মতোই দুধ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে ছোট থেকেই বিস্তর পরামর্শ শোনা হয়েছে। পছন্দ হোক ব না হোক, দুধ এড়িয়ে যাওয়ার উপায় খুব কম। একমাত্র অ্য়ালার্জি সংক্রান্ত সমস্যা না থাকলে পুষ্টিবিদেরা সুষম আহারের জন্য দুধ (Milk) খেতে বলেন।
কিন্তু এখানে একটি সমস্যা রয়েছে। দুধের সঙ্গী কী হবে? শুধু শুধু দুধ খেলে আলাদা ব্যাপার। কিন্তু, এই সুষম আহারই বিষম হয়ে উঠতে পারে যদি এর সঙ্গী গন্ডগোলের হয়। খোলসা করে বললে, দুধের সঙ্গে যে কোনও কিছু খাওয়া যায় না। একসঙ্গে তো নয়ই, পরপরও ওই খাবার খাওয়া উচিত নয়। সেগুলি কী কী? দুধের সঙ্গী হিসেবে কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে?
বাদ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার:
বলা হয়ে থাকে প্রোটিন (Protein) ও দুধ একসঙ্গে খাওয়া যায় না। এই দুটো একসঙ্গে খেলে পেট ভারী হয়ে যায় সহজে। দ্রুত ওজনও বৃদ্ধি করে। গুরুপাক খাবার হওয়ায় হজমেও সমস্য তৈরি করতে পারে। তবে যাঁরা ওজন (Weight Gain) বৃদ্ধি করতে চান তাঁদের জন্য এমন খাবার কাজে লাগে। পাশাপাশি শিশুদের পুষ্টির জন্যও প্রয়োজনীয় এমন খাবার।
মাছ-মাংস নয়:
মাছ (Fish) ও মাংসের (Meat) সঙ্গে কোনওভাবেই দুধ যায় না। বলা হয়ে থাকে মাছ ও মাংস এবং দুধ-এর যা রাসায়নিক যৌগ রয়েছে তা বিক্রিয়া করে। যা শরীরে সমস্যা তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন দুটি ভারী প্রোটিনজাতীয় খাবার কখনও একসঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
বাদ যাবে টক ফল:
দুধে লেবুর (Lemon) রস ফেলে দই তৈরির পদ্ধতি প্রায় সবার জানা। অর্থাৎ টকজাতীয় ফলের অম্লতার সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুধ। ফলে দুটি একসঙ্গে খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, অম্নজাতীয়, টকজাতীয় (Citrus) বা ভিটামিন-সি (Vitamin C) সমৃদ্ধ খাবার কখনও দুধের সঙ্গে খাওয়া উচিত নয়।
দুধ-কলা নয়:
বানানা মিল্ক শেক (Banana Milk Shake) অনেকেই খান। জিম করে, সাঁতার করে অনেকেরই পছন্দের খাবার এটি। সহজেই পেটও ভরায়। কিন্তু সবার জন্য এটি ভাল নয়। কারণ দ্রুত ওজন বাড়াতে পারে এটি। পাশাপাশি দুধ ও কলা একসঙ্গে পেট ভারী করে দেয়। ব্লটিং (Bloating) জাতীয় সমস্যাও হয়ে থাকে এতে। হজমও অনেক বেশি সময় লাগে।
মুলো (Radish) বা মুলো দিয়ে তৈরি কোনও খাবার খেলে তার সঙ্গে সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়। তেমনটা হলে পাচনপ্রক্রিয়ায় বড়সড় চাপ পড়ে। মুলো শরীর গরম করে। দুধের সঙ্গে মিশে অ্যাসিটিডির সমস্যা তৈরি করতে পারে এটি।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: অশনি সঙ্কেত জলবসন্তের, মোকাবিলায় কী করবেন?