নয়াদিল্লি: ঘুম। যে কোনও প্রাণীর স্বাস্থ্য ঠিক রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। ঘুমের সময়েই শরীর নিজেই নিজের মেরামতি প্রক্রিয়া চালায়। ফলে ঘুম না হলে সেই প্রক্রিয়া ব্য়হত হয়। তার জেরে ধাক্কা লাগে সামগ্রিক স্বাস্থ্যে।  নতুন একটি গবেষণার পরে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লাগে হৃদযন্ত্রে। মূলত হৃৎপিন্ড এবং হার্ট সংক্রান্ত বিষয়েই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় ঘুম কম হলে। ঘুম কম হওয়া বা ঘুম না হওয়ায় সমস্যাকেই বলা হয়ে থাকে ইনসমনিয়া (Insomnia).


কী বলছে গবেষণা:
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকলে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (Cardiovascular Diseases) -এর ঝুঁকি ১৬ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
 
কোথায় প্রকাশিত:
স্লিপ অ্যাডভ্যান্সেস (Sleep Advances) নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্রটি।


কোন পদ্ধতিতে গবেষণা:
গড়ে ৬২ বছর বয়সী এক হাজারের বেশি ব্যক্তির উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছে। যাঁদের গত দেড় বছরে কোনও না কোনও সময়ে হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) হয়েছে অথবা হৃৎসংক্রান্ত অস্ত্রোপচার হয়েছে। প্রত্যেককে ঘুম ও ঘুমের সমস্যা সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। তাঁদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রায় চার বছর ধরে প্রত্যেক ব্যক্তির উপর টানা নজর রাখা হয়েছে, কখন তাঁদের কারও হার্ট অ্য়াটাক বা কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ (Cardiovascular Disease) সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হয়।


দেখা গিয়েছে, যতজন গবেষণায় যোগদান করেছিলেন তাঁদের অন্তত অর্ধেকের শুরু থেকেই ইনসমনিয়া ছিল। তার মধ্যে ২৪ শতাংশ পরের দিকে সেই সমস্যার চিকিৎসাও শুরু করেছিলেন। গবেষক দলের প্রধান Lars Frojd বলছেন 'যদি কারও ইনসমনিয়া না থাকত তাহলে ১৬ শতাংশ ঝুঁকি সহজেই কমে যেত।'


ইনসমনিয়া কী?
ঘুমনোর অসুবিধা, ক্লান্তি সত্ত্বেও ঘুম না আসা। টানা ঘুম না হয়ে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া। কোনওসময় ঘুম না পাওয়া এরকমই নানা সমস্যাকে ইনসমনিয়া (Insomnia) বলা হয়। এর জেরে হাইপারটেনশন (Hypertension), হার্টবিটের ওঠানামা, হরমোনের সমস্যা হতে পারে। এর জেরে ডায়াবেটিসও থাবা বসাতে পারে।


কী ভাবে মুক্তি?
নির্দিষ্ট সময় ঘুমনো। ঘুমনোর আগে মোবাইল-ল্যাপটপ ব্যবহার না করা, ক্যাফাইন জাতীয় পানীয় বন্ধ করা--এগুলিই করে দেখা যেতে পারে। সমস্যা বাড়তে থাকলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: সুস্থ থাকতে ভরসা মাল্টিভিটামিন? সেখানে থাকুক এগুলিও