Kidney Health: সুস্থ সবল থাকতে চাইলে, বিশেষ করে বেশি বয়সেও শরীর ভাল রাখতে চাইলে, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের মধ্যে কিডনির স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা ভীষণ ভাবে জরুরি। সহজ ভাষায় বললে কিডনি আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে একপ্রকার ছাঁকনির মতো কাজ করে। শরীরের ভিতরে জমা যাবতীয় দূষিত পদার্থ অর্থাৎ টক্সিন বের করে শরীর পরিশ্রুত রাখতে এই অঙ্গই সাহায্য করে। বডি ডিটক্সিফিকেশনের কাজ করে কিডনি। আর একবার কিডনির সমস্যা দেখা দিলে, শরীরে একসঙ্গে আরও অনেক অসুবিধা তৈরি হতে পারে। কিডনি বিকল হলে, আমাদের শরীরের আরও অনেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে, যাকে বলে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর। অতএব কিডনির স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখা অল্প বয়স থেকেই জরুরি। বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি নিয়ম করে খেতে পারলে আপনার কিডনি অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকবে। এইসব খাবারের তালিকায় কী কী রয়েছে, চলুন দেখে নেওয়া যাক।

  • ব্লুবেরি খেলে কিডনি ভাল থাকবে। এই ফলে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং কম পটাশিয়াম রয়েছে এই ফলের মধ্যে। বেশি অক্সিডেন্টস এবং কম পটাশিয়ামের কারণে ব্লুবেরি খেলে কিডনির অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমবে। 
  • বাঁধাকপি খেলে শুধু গ্যাসের সমস্যাই হয়, এমন ধারণা ভুল। এই সবজি খেলে ভাল থাকবে আপনার কিডনি। তাই মাঝে মাঝে খেতে পারেন। ফাইবার, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ বাঁধাকপিতেও পটাশিয়ামের পরিমাণ কম। বডি ডিটক্স করে এই সবজি। কিডনির উপর চাপ বাড়ায় না। 
  • লাল রঙের ক্যাপসিকাম বা রেড বেলপেপার খেতে পারলে আপনার কিডনির স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। এই সবজির রয়েছে অনেক গুণ। ভিটামিন এ, সি, বি৬ এবং ফোলিক অ্যাসিড রয়েছে রেড বেলপেপারে। এর মধ্যেও পটাশিয়ামের পরিমাণ কম। তাই কিডনির জন্য খাওয়া ভাল। 
  • আপেল খেলে ভাল থাকবে কিডনি। হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে এই ফল। খেয়াল রাখে ত্বকেরও।ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় আপেল। ফাইবার এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ যুক্ত আপেল যেহেতু ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় তাই এই ফল খেলে কিডনির উপর থেকে চাপ কমবে। 
  • পেঁয়াজ খাওয়া কিডনির স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তবে কাঁচা পেঁয়াজ। রান্না করা পেঁয়াজের তেমন কোনও গুণ নেই। কিন্তু কাঁচা পেঁয়াজের অনেক গুণ। বডি ডিটক্সিফিকেশনের সাহায্য করে কাঁচা পেঁয়াজ। এছাড়াও কিডনিতে ইনফ্লেমেশনের সমস্যাও কমায়। তাই কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। 

ডিসক্লেমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।