রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে দুর্ঘটনায় মিলতে পারে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ , জেনে নিন বিস্তারিত তথ্য
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
23 Nov 2020 01:17 PM (IST)
রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি থেকে যাঁরা এলপিজি সংযোগ নেন, সেই গ্রাহকদের প্রত্যেকের নামেই বিমা করিয়ে রাখে তেল সংস্থাগুলি। অর্থাৎ, এলপিজি সিলিন্ডার ফেটে বা সিলিন্ডার থেকে কোনও দুর্ঘটনার জেরে যদি গ্রাহক বা তাঁর পরিবারের অথবা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে বিমার মাধ্যমে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ওয়েবসাইটেও এই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।
NEXT
PREV
নয়াদিল্লি: এলপিজি সিলিন্ডার নিয়মিত ব্যবহার করছেন বাড়িতে।অথচ আপনার প্রাপ্য একটি বড় অধিকারের কথা হয়তো অনেকেই জানেনই না।রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি থেকে যাঁরা এলপিজি সংযোগ নেন, সেই গ্রাহকদের প্রত্যেকের নামেই বিমা করিয়ে রাখে তেল সংস্থাগুলি। অর্থাৎ, এলপিজি সিলিন্ডার ফেটে বা সিলিন্ডার থেকে কোনও দুর্ঘটনার জেরে যদি গ্রাহক বা তাঁর পরিবারের অথবা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে বিমার মাধ্যমে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ওয়েবসাইটেও এই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।
সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে বিমা সংস্থা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন গ্রাহক। গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কথা হল কেমন করে মিলতে পারে এই ক্ষতিপূরণ। সে জন্য নিজের বাড়িতে গ্যাস ব্যবহার করার সময়েও কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রথম শর্ত হল, যে জায়গায় দুর্ঘটনা, তা নথিভূক্ত বাসভবন হওয়া দরকার।
সাধারণত গ্যাস কোম্পানির তরফে ৪০ লক্ষ টাকার বিমা সুরক্ষা গ্রাহকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় যদি কারও প্রাণ যায়, সেক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্লেম দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। কেউ মারা গেলে সে ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার নিয়ম আছে। এছাড়া, পরিবারের অন্যান্য আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যক্তি-প্রতি ১ লক্ষ টাকা করে কভারেজ পেয়ে থাকেন। সম্পত্তির ক্ষতি বাবদ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনসুরেন্স ক্লেম করা যায়।
বেশিরভাগ মানুষই সিলিন্ডার নেওয়ার সময়ে তার গায়ে লেখা তারিখ দেখেন না। কিন্তু এর জন্য পরবর্তী সময়ে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে। যদি দুর্ঘটনা সিলিন্ডারের এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়ার পরে ঘটে, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারবেন না। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া সিলিন্ডার ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ লিকেজ থাকতে পারে। সিলিন্ডারের এক্সপায়ারি ডেটটি রেগুলেটারের কাছেই লেখা থাকে। অনেক সময় পুরো তারিখএর বদলে সংক্ষেপে D-20 বা এই ধরনের কোনও কোড দিয়ে বোঝানো থাকে।
যদি কোডে A লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারটি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে B বোঝায় এপ্রিল থেকে জুন, C হল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, আর D বোঝায় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ডেলিভারি হওয়া সিলিন্ডার।
দুর্ঘটনা ঘটলে সবচেয়ে আগে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করতে হবে। তারপর গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে রিপোর্টের কপি জমা দিতে হবে। তিনিই কোম্পানিকে আপনার রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবেন। এফআইআরের কপি পাওয়ার পর বিমা কোম্পানি একটি পর্যবেক্ষক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। তারা সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট বানিয়ে বিমা কোম্পানিকে পাঠায়। তারই ভিত্তি নির্ধারিত হয় ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ। এই টাকা সরাসরি পৌঁছে যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে।
রান্নার গ্যাস ব্যবহারের জন্য তেল সংস্থাগুলি আইএসআই স্বীকৃত গ্যাসের পাইপ ব্যবহার-সহ যে ব্যবহারবিধি বা পরামর্শ দেয়, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের সেগুলি মেনে চলতেই হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায় তেল সংস্থা বা বিমা সংস্থা কিন্তু নেবে না।
দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশে জানানোর পাশাপাশি লিখিতভাবে গ্রাহককে নিজের গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে অভিযোগ জানাতে হবে।
গ্রাহক যাতে বিমা সংস্থার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পান, তার দায়িত্ব ডিস্ট্রিবিউটরেরই।তারাই দুর্ঘটনার বিষয়টি তেল সংস্থা এবং বিমা সংস্থাকে জানাবে।
সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে থাকতে হবে।
দুর্ঘটনায় আহত হলে মেডিক্যাল বিল, প্রেসক্রিপশন, ওষুধের বিলের মতো কাগজপত্রগুলি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কাছে রাখতে হবে।
নয়াদিল্লি: এলপিজি সিলিন্ডার নিয়মিত ব্যবহার করছেন বাড়িতে।অথচ আপনার প্রাপ্য একটি বড় অধিকারের কথা হয়তো অনেকেই জানেনই না।রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি থেকে যাঁরা এলপিজি সংযোগ নেন, সেই গ্রাহকদের প্রত্যেকের নামেই বিমা করিয়ে রাখে তেল সংস্থাগুলি। অর্থাৎ, এলপিজি সিলিন্ডার ফেটে বা সিলিন্ডার থেকে কোনও দুর্ঘটনার জেরে যদি গ্রাহক বা তাঁর পরিবারের অথবা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হয়, সেক্ষেত্রে বিমার মাধ্যমে মোটা টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী সংশ্লিষ্ট গ্রাহক। রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থার ওয়েবসাইটেও এই সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে।
সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে বিমা সংস্থা থেকে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন গ্রাহক। গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কথা হল কেমন করে মিলতে পারে এই ক্ষতিপূরণ। সে জন্য নিজের বাড়িতে গ্যাস ব্যবহার করার সময়েও কিছু নিয়ম মানতে হবে। প্রথম শর্ত হল, যে জায়গায় দুর্ঘটনা, তা নথিভূক্ত বাসভবন হওয়া দরকার।
সাধারণত গ্যাস কোম্পানির তরফে ৪০ লক্ষ টাকার বিমা সুরক্ষা গ্রাহকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ঘটনায় যদি কারও প্রাণ যায়, সেক্ষেত্রে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্লেম দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের সর্বাধিক ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়। কেউ মারা গেলে সে ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার নিয়ম আছে। এছাড়া, পরিবারের অন্যান্য আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যক্তি-প্রতি ১ লক্ষ টাকা করে কভারেজ পেয়ে থাকেন। সম্পত্তির ক্ষতি বাবদ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনসুরেন্স ক্লেম করা যায়।
বেশিরভাগ মানুষই সিলিন্ডার নেওয়ার সময়ে তার গায়ে লেখা তারিখ দেখেন না। কিন্তু এর জন্য পরবর্তী সময়ে চড়া মাশুল দিতে হতে পারে। যদি দুর্ঘটনা সিলিন্ডারের এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়ার পরে ঘটে, তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তি আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারবেন না। এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া সিলিন্ডার ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কারণ লিকেজ থাকতে পারে। সিলিন্ডারের এক্সপায়ারি ডেটটি রেগুলেটারের কাছেই লেখা থাকে। অনেক সময় পুরো তারিখএর বদলে সংক্ষেপে D-20 বা এই ধরনের কোনও কোড দিয়ে বোঝানো থাকে।
যদি কোডে A লেখা থাকে তাহলে বুঝতে হবে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সিলিন্ডারটি ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে B বোঝায় এপ্রিল থেকে জুন, C হল জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, আর D বোঝায় অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে ডেলিভারি হওয়া সিলিন্ডার।
দুর্ঘটনা ঘটলে সবচেয়ে আগে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করতে হবে। তারপর গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে রিপোর্টের কপি জমা দিতে হবে। তিনিই কোম্পানিকে আপনার রিপোর্ট পাঠিয়ে দেবেন। এফআইআরের কপি পাওয়ার পর বিমা কোম্পানি একটি পর্যবেক্ষক দলকে ঘটনাস্থলে পাঠায়। তারা সরেজমিনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর রিপোর্ট বানিয়ে বিমা কোম্পানিকে পাঠায়। তারই ভিত্তি নির্ধারিত হয় ক্ষতিপূরণের আর্থিক পরিমাণ। এই টাকা সরাসরি পৌঁছে যায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে।
রান্নার গ্যাস ব্যবহারের জন্য তেল সংস্থাগুলি আইএসআই স্বীকৃত গ্যাসের পাইপ ব্যবহার-সহ যে ব্যবহারবিধি বা পরামর্শ দেয়, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য গ্রাহকদের সেগুলি মেনে চলতেই হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে, তার দায় তেল সংস্থা বা বিমা সংস্থা কিন্তু নেবে না।
দুর্ঘটনা ঘটলে পুলিশে জানানোর পাশাপাশি লিখিতভাবে গ্রাহককে নিজের গ্যাস ডিস্ট্রিবিউটরকে অভিযোগ জানাতে হবে।
গ্রাহক যাতে বিমা সংস্থার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পান, তার দায়িত্ব ডিস্ট্রিবিউটরেরই।তারাই দুর্ঘটনার বিষয়টি তেল সংস্থা এবং বিমা সংস্থাকে জানাবে।
সিলিন্ডার ফেটে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে ডেথ সার্টিফিকেট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট-সহ সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে থাকতে হবে।
দুর্ঘটনায় আহত হলে মেডিক্যাল বিল, প্রেসক্রিপশন, ওষুধের বিলের মতো কাগজপত্রগুলি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য কাছে রাখতে হবে।
লাইফস্টাইল (lifestyle) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -