Good Sleep: রাতে ঘুমের সমস্যা? বারবার ঘুম ভেঙে যায়? সামান্য শব্দে একবার ঘুম ভাঙলে বাকি রাত না ঘুমিয়েই কাটাতে হয়? এইসব সমস্যা টানা অনেকদিন ধরে দেখা দিলে অতি অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। একেবারেই অবহেলা করা চলবে না। কারণ রাতের ঘুম যদি দিনের পর দিন ঠিকভাবে না হয়, তাহলে শরীর খারাপ হতে বাধ্য। বিভিন্ন ভাবে স্বাস্থ্যের অবনতি হতে পারে। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে জটিল রোগ। সর্বোপরি রাতে সঠিক ভাবে ঘুম না হলে পরের দিন সারাটা দিন শরীরে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি দেখা দেবে।
রাতের ঘুমের সমস্যা এড়াতে চাইলে কয়েকটি সাধারণ নিয়ম আপনি নিজেই মেনে চলতে পারেন। এর ফলে উপকারই পাবেন। আপনার ঘুম ভালভাবে সম্পন্ন হবে রাতে। তার ফলে সুস্থ থাকবেন আপনি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক, আপনার রাতের ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতে চাইলে প্রতিদিন কোন কোন নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন। দিনের শুরুতে ভালভাবে শরীরচর্চা করলে রাতে আপনার ভাল ঘুম হতে বাধ্য। এমনকি ঘুমোতে যাওয়ার আগেও ১০ মিনিট মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। উপকার পাবেন।
- ঘুমের সময় ঠিক করতে হবে। অর্থাৎ একদিন ১০টায় ঘুমোলেন, একদিন রাত ২টোয়, তাহলে চলবে না। রোজ মোটামুটি একই সময়ে ঘুমোতে যাওয়ার অভ্যাস করা জরুরি। খুব বেশি রাত করে না ঘুমনোই শ্রেয়। তবে অনেকেরই কর্মসূত্রে নাইট শিফটে ডিউটি করতে হয়। তারা চেষ্টা করুন, সেক্ষেত্রেও মোটামুটি যতটা সম্ভব ঘমোতে যাওয়ার একটা সময় নির্দিষ্ট করতে। সারারাত জেগে ভোরবেলা ঘুমোতে গিয়ে, সকালের দিকে অনেকটা ঘুমিয়ে নিলেও কিন্তু শরীরে ক্লান্তি বজায় থাকবেই।
- রাতের খাবার এবং ঘুমের মধ্যে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ব্যবধান রাখার চেষ্টা করুন। অনেকসময় রাতের খাবার আগে খেয়ে নিলে ঘুমের আগে খিদে পেতে পারে। সেই সময় হাল্কা হেলদি স্ন্যাক্স খেতে পারেন। ড্রাই ফ্রুটস কিংবা বাদাম খেতে পারেন অল্প পরিমাণে। তবে চা-কফি খাবেন না একেবারেই। আর সহজপাচ্য নয় এমন খাবার, ভাজাভুজি, তেলমশলা যুক্ত খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। রাত জাগলে খিদে পাবে। সেই সময় ফ্রিজ হাতড়ে চকোলেট, স্ন্যাক্স- এমন সব খাবার খাওয়া হয়ে যায় যেগুলি ওজন তো বাড়াবেই, তার সঙ্গে অ্যাসিডিটি, বদহজম, গ্যাস হতে পারে। অতএব রাত জাগার অভ্যাস বাদ দিতে পারলেই ভাল।
- যে ঘরে ঘুমোতে যাবেন সেখানে হাল্কা আলো রাখুন। শব্দ যত কম হবে, তত ভাল। ঘুমের সময় মোবাইল দূরে রাখুন। চাইলে হাল্কা মিউজিক চালিয়ে রাখতে পারেন।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।