কলকাতা: খাবারে একচিমটে মশলা। তাতেই ভাল থাকতে পারে পেট। এমনটাই দাবি করা হল সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ২টি সমীক্ষায়। 


আমেরিকার পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় (Penn State University) একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন কিছুটা বাদাম বা এক চামচ পরিমাণ মশলা বা হার্ব (Herbs) খাবারে ব্যবহার করলে পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হজমতন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য ভাল থাকে বলে জানানো হয়েছে। তার জেরে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও ঠিক থাকে। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের করা দুটি আলাদা গবেষণা দেখাচ্ছে ডায়েটে সামান্য কিছু দেখভাল করলেই তা ভাল প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যে।


Gut Microbiome হল microorganisms-পরিবারকে বোঝায়। যা মানবদেহের অন্ত্রে (Intestinal Tracts)-এ থাকে। এইগুলি হজমপ্রক্রিয়া ঠিক রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য় করে। পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও প্রফেসর Penny M. Kris-Etherton বললেন, 'গবেষণায় দেখা গিয়েছে যার দেহে বিভিন্ন প্রজাতির ভাল ব্যাকটেরিয়া রয়েছে তার স্বাস্থ্য তুলনায় অনেক ভাল থাকে।'


কী বলছে গবেষণাপত্র:
Clinical Nutrition- পত্রিকায় যে সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে তাতে একটি পর্যালোচনা করা হয়েছে।  প্রতিদিন স্ন্যাকস হিসেবে বাদাম খাওয়া এবং ক্র্যাকার বা চিজ-জাতীয় খাবার খাওয়ার মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। ৬ সপ্তাহ পরে দেখা গিয়েছে যাঁরা বাদাম খেয়েছেন তাঁদের অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার সংখ্য়া অনেক বেশি। 
The Journal of Nutrition-পত্রিকায় আরও একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দারচিনি, আদা, জিরে, তেঁতুল, ওরিগ্যানো, তুলসি এবং আরও কিছু হার্বজাতীয় মশলার দেহে উপর কী প্রভাব ফেলে তা দেখা হয়েছে। খাওয়ার পরিমাণের ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ রোজ এক চামচের ১/৮ ভাগ, একটি অংশ ৩/৪ ভাগ, অন্য অংশটি আধ চামচ মশলা তার খাবারে খেয়েছে। চার সপ্তাহ পরে দেখা গিয়েছে, যাঁরা তাঁদের খাবারে বেশি পরিমাণ মশলা রেখেছেন তাঁদের অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা তত বেড়েছে।


২টি গবেষণার ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে দেহে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া সংখ্যা বাড়ছে। যা সুস্থতা এবং শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তুলতে সাহায্য় করে। যদিও পেন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও প্রফেসর Penny M. Kris-Etherton জানিয়েছেন, এই বিষয়টির বহুল ব্য়বহার নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: কাদের আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি? পার পাবেন না কমবয়সীরাও