Hair Care Tips: চুলের স্বাস্থ্য (Hair Care) ভাল রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে বাড়িতেই কয়েকটি উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুলের গ্রোথ (Hair Growth) ভাল হবে। চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত চুল পড়া, রুক্ষ শুষ্ক ভাব, ডগা ফেটে যাওয়া, মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়া এই জাতীয় সমস্যাও দূর হবে। সারাবছর চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য যে যে উপকরণ ব্যবহার করতে পারবেন, সেগুলো একনজরে দেখে নিন।


নারকেল তেল- চুলের যত্নের জন্য নারকেল তেল সবচেয়ে উপকারি উপকরণ। শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল দিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। সবার আগে নারকেল তেল হাল্কা গরম করে নিতে হবে। তারপর আঙুলের ডগায় অল্প করে তেল নিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। কোনওভাবেই চুলের গোড়ায় ঘষে তেল ম্যাসাজ করবেন না। এর ফলে গোড়া আলগা হয়ে চুল পড়ার সমস্যা বেড়ে যাবে। চুলের গোড়ার পাশাপাশি লেংথ পোরশন বা লম্বা অংশেও নারকেল তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এর ফলে চুল মজবুত হবে। চুল পড়ার সমস্যা কমবে। নতুন চুল গজাবে, চুলের বৃদ্ধি ভালভাবে হবে, রুক্ষ শুষ্ক ভাব, ডগা ফাটার সমস্যা এবং চুল মাঝখান থেকে ভেঙে যাওয়ার সমস্যা কমবে। শ্যাম্পু করার আগে হাল্কা গরম নারকেল তেল ম্যাসাজ করে এক ঘণ্টা রেখে তারপর চুল ধুয়ে নিন পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে। 


অ্যালোভেরা জেল- চুলে ময়শ্চারাইজার বজায় রাখতে অ্যালোভেরা জেল সাহায্য করে। তাই এই জেল চুলে লাগিয়ে আধঘণ্টা অর্থাৎ ৩০ মিনিট রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার ঠান্ডা জল দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারেন হাল্ক শ্যাম্পু। অ্যালোভেরা জেল চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে। চুল নরম, মোলায়েম এবং উজ্জ্বল রাখে। রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর করে।


কলা- বাড়িতে হেয়ার স্পা করতে চাইলে কলা সবচেয়ে ভাল উপকরণ। ভাল করে কলা স্ম্যাশ করে নিন। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন সামান্য মধু। এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। কলা দিয়ে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে চুলে ব্যবহার করলে চুল মোলায়েম এবং উজ্জ্বল হয়।


ডিম এবং মধু- চুলের যত্নে এই দুই উপকরণও ব্যবহার করতে পারেন। তবে আলাদা ভাবে। দুই ক্ষেত্রেই শ্যাম্পু করে ভালভাবে চুল ধুয়ে নিতে হবে। ডিম এবং মধু চুলের রুক্ষ শুষ্ক ভাব দূর করে। অনেকসময় শ্যাম্পু করার পর পাতিলেবুর রস চুলে লাগালে তা সিরামের কাজ করে। চুলে জট পড়ে না। লালচে ভাব দূর হয়।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কী কী খাবার রোজ খেতে পারেন? রইল তালিকা