Lungs Health: শরীর-স্বাস্থ্য (Fitness) ভাল রাখার জন্য আমাদের অনেকদিকেই নজর (Health Tips) রাখতে হয়। নিয়মিত শরীরচর্চার (Work Out) পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়ার দিকে নজর রাখাও প্রয়োজন। ফুসফুস ভাল রাখতে হলে কী কী খাবেন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।


গ্রিন টি- গ্রিন টি-র মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা আপনার বডি ডিটক্স করতে অর্থাৎ শরীরে ভিতর জমে থাকা বর্জ্য পদার্থ নির্গত করতে সাহায্য করে। এছাড়াও ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহজনিত সমস্যা যেমন- অ্যাসিডিটি বা অম্বলের সমস্যা কমায়। এর পাশাপাশি ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।


ওটস এবং জামজাতীয় ফল- জলখাবারের ক্ষেত্রে ওটস খুবই ভাল উপকরণ। এর মধ্যে রয়েছে হাজার গুণ। আর বিভিন্ন জামজাতীয় ফল বা বেরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই এই দুই উপকরণ মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।


বিটরুট- মূলত আপনার দেহে রক্ত সঞ্চালন ভালভাবে সম্পন্ন করতে এবং অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে বিটরুট। এই দুই কাজ ভালভাবে হলে ফুসফুস ভাল থাকবে। তাই প্রতিদিনের মেনুতে বিটরুট যুক্ত করতে পারেন বিভিন্ন ভাবে। স্যালাড বা তরকারিতে খেতে পারেন বিটরুট। এছাড়াও বিটরুটের রস বা জুস খাওয়াও উপকারি।


সবুজ শাকসবজি- বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, ব্রকোলি- এগুলির মধ্যে থাকে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ইনফ্লেমেশনের সমস্যা কমায়। এর ফলে আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। অ্যাসিডিটির সমস্যা কমলে ফুসফুসের সমস্যা কমে।


হাল্কা গরম লেবুজল- সামান্য গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে সকালবেলা খালি পেটে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই পানীয় দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে যেমন সাহায্য করে তেমনই শরীর হাইড্রেটেড রাখে অর্থাৎ শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। এর পাশাপাশি শরীরে মধ্যে জমে থাকা বিভিন্ন দূষিত পদার্থ বা টক্সিন শরীর থেকে নির্গমনে সাহায্য করে। অর্থাৎ বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে এই হাল্কা গরম লেবুজল। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। 


ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বা কোনও সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সতর্ক থাকুন। কারণ সর্দি, কাশি হলে ফুসফুসে সংক্রমণের পরিমাণ বাড়তে পারে। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- লম্বায় ঠিকমতো বাড়ছে না চুল? এই নিয়মগুলো মেনে চললে পেতে পারেন উপকার