Hair Care Tips: চুলের একাধিক সমস্যা দূর করতে কাজে লাগে হেয়ার মাস্ক (Hair Mask)। সেই হেয়ার মাস্ক (Homemafe Hair Mask)বাড়িতে তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনি কোন কোন উপকরণ (Benefits of Hair Masks) ব্যবহার করতে পারেন, দেখে নিন। 


ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি হেয়ার মাস্ক 



  • মধু এমন একটি উপকরণ যা ত্বকের পাশাপাশি চুলের জন্যেও উপকারি। মধুর মধ্যে কাঁচা দুধ মিশিয়ে বাড়িতে খুব সহজে আপনি হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারবেন। মধু এবং দুধ দিয়ে তৈরি এই হেয়ার মাস্ক চুলের রুক্ষ এবং শুষ্ক ভাব, লালচে হয়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করে চুল মোলায়েম রাখবে। জেল্লা বাড়াবে চুলের। এক কাপ দুধের সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। স্নানের আগে এই মিশ্রণ চুলের লম্বা অংশে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর মিনিট ২০ রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। 

  • চুলের স্বাস্থ্যের জন্য কলা একটি উপকারি উপাদান। কলার সাহায্যে বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন হেয়ার মাস্ক। এর জন্য পাকা কলা টুকরো করে কেটে ভালভাবে স্ম্যাশ করে নিতে হবে। তারপর তার মধ্যে মিশিয়ে নিতে হবে আমন্ড অয়েল। এই মিশ্রণ স্নানের আগে চুলে এবং মাথার তালুতে ভালভাবে লাগিয়ে নিন। মিনিট ১৫ রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি এই হেয়ার মাস্ক চুল নরম এবং উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। 

  • টকদই দিয়েও তৈরি করা যায় হেয়ার মাস্ক। এক বাটি টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে নারকেল তেল। তারপর স্নানের আগে এই মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে রাখুন। এই হেয়ার মাস্ক চুলের পাশাপাশি স্ক্যাল্পেও ব্যবহার করতে পারেন। মিনিট ২০ রেখে হাল্কা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। যাঁদের চুল লম্বায় খুব একটা বাড়তে চায় না, তাঁরা এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। চুলের সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে এই হেয়ার মাস্ক।

  • অনেকেই চুলে ডিম মেখে থাকেন। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। ডিম চুল নরম রাখতে, উজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি নতুন চুল গজাতে, চুলের বৃদ্ধিতে, ডগা ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যাও দূর করে। চুলের গোড়া মজবুত করে মাঝখান থেকে চুলের ভেঙে যাওয়ার সমস্যাও দূর করে এই ডিম। দুটো ডিমের সঙ্গে এক চা-চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। এই মিশ্রণ স্নানের আগে চুলে ও মাথার তালুতে লাগিয়ে নিন এবং মিনিট ১৫ রেখে ভালভাবে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন।

  • সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি চুলের পরিচর্যাতেও কাজে লাগে অ্যাভোকাডো। এর জন্য অ্যাভোকাডো ভালভাবে স্ম্যাশ করে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। একটা অ্যাভোকাডো থেকে যে পেস্ট তৈরি হবে তার সঙ্গে এক চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করে নিন হেয়ার মাস্ক। স্নানের আগে মিনিট ১৫ এই হেয়ার মাস্ক চুলে লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। অ্যাভোকাডো পেস্ট দিয়ে তৈরি ঘরোয়া পদ্ধতির হেয়ার মাস্ক চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- রাতে 'সাউন্ড স্লিপ' হচ্ছে না? খেয়ে দেখতে পারেন এই ৫ ধরনের পানীয়