Hair Care Tips: চুলে শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। তবে বেশি ব্যবহার করা হয়ে গেলে, সমস্যা দেখা দিতে পারে অনেক। প্রয়োজনের বেশি চুলে কন্ডিশনারের ব্যবহার হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে, জেনে নিন।
- চুলে বেশি মাত্রায় কন্ডিশনার ব্যবহার করা হলে চুল চিটচিটে হয়ে যাবে। আর চুল চিটচিটে হয়ে গেলে সহজে নোংরা, ময়লা জমে যাবে আপনার চুলে। তাই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, কিন্তু পরিমাণের দিকেও নজর দিন। নাহলে হিতে বিপরীত হবে।
- চুলে নোংরা যত বেশি হবে, তত চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে। তাই সাবধানে থাকুন। অতিরিক্ত কন্ডিশনারের ব্যবহার হেয়ার ফলিকলের মুখগুলো বন্ধ করে দেয়। আর হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি বন্ধ হয়ে গেলে নতুন চুল গজাতে পারে না।
- অতিরিক্ত কন্ডিশনারের ব্যবহারের ফলে চুলে চুলকানি-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে ওই নোংরা জমেই।
শীতকালে নিয়মিত শ্যাম্পু করা চুলের জন্য কতটা জরুরি ?
শীতকালেও চুলে শ্যাম্পু করা জরুরি। নাহলে পরিষ্কার থাকবে না চুল। দেখা দেবে অনেক সমস্যা। শীতকালে যেহেতু বাতাসে দূষণের মাত্রা বেশি থাকে, তাই চুলে সহজে জমে যায় নোংরা। এই ময়লা দূর করতে শীতেও চুলে রোজ শ্যাম্পু করুন। শীতে আবহাওয়া রুক্ষ ও শুষ্ক। তাই চুলে শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। নাহলে চুলে সমস্যা বাড়বে। শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করার আগে অবশ্যই নারকেল তেল গরম করে ম্যাসাজ করুন। নাহলে স্ক্যাল্প রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যাবে। শীতকালে চুলে শ্যাম্পু করলে অবশ্যই ব্যবহার করুন কন্ডিশনার। তাহলে চুল থাকবে মোলায়েম এবং উজ্জ্বল। শীতের দিনে শ্যাম্পু করার পর চুলে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সিরাম। হেয়ার সিরাম চুল নরম এবং মোলায়েম রাখবে। পাশাপাশি বজায় রাখবে উজ্জ্বলতা। শীতকালে প্রায় সকলেই গরম জলে স্নান করেন। তবে শ্যাম্পু করার পর চুল ধোয়ার সময় কিন্তু হাল্কা গরম জল ব্যবহার করবেন। বেশি গরম জল চুলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। শীতকালে রোজ শ্যাম্পু করা সম্ভব নয়। কিন্তু সপ্তাহে অন্তত ২ থেকে ৩ দিন শ্যাম্পু করতেই হবে। নাহলে চুলে দেখা দেবে অনেক সমস্যা। শীতের দিনে চুলে শ্যাম্পু করার আগের দিন রাতেই স্ক্যাল্পে এবং চুলে ভালভাবে নারকেল তেল গরম করে ম্যাসাজ করে নিন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিলেই চুল থাকবে মজবুত, চকচকে। শীতকালে খুশকির সমস্যা প্রবলভাবে দেখা যায়। নিয়মিত শ্যাম্পু করার অভ্যাস এই সমস্যাও দূর করবে।
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।