Premature Greying: অল্প বয়সেই চুল পেকে (Greying Hair) যাচ্ছে? কালো ঘন চুলের ফাঁকে ইতিউতি উঁকি দিচ্ছে দু’চারটে ধূসর চুল… অথচ বয়স ৪০-ও হয়নি। চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন আপনি। যদিও এমন হওয়ার জন্য কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষটি নিজেই দায়ী হন। চুলের চরম অযত্নের পাশাপাশি অনেকে অবশ্য বংশ পরম্পরায় এই সমস্যা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও অতিরিক্ত স্ট্রেস বা চাপ, ধূমপানের অভ্যাস, ভিটামিন  বি১২-র ঘাটতি, সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মির (UV Ray) সংস্পর্শে চুল থাকা--- এইসব কারণেও সময়ের আগে চুলে পাক ধরতে পারে। তবে এমন কিছু ‘সুপারফুড’ (Superfood) রয়েছে যেগুলো খেলে হয়তো আপনার এভাবে অকালে চুল পেকে যাওয়ার প্রবণতা একটু কমতে পারে। এই খাবারগুলো কী কী দেখে নিন চটজলদি।  


সবুজ শাকসবজি- সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পালং শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বিভিন্ন শাকের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পুষ্টি উপকরণ রয়েছে। এগুলো সবই চুলের স্বাস্থ্য ভাল করে।


ডার্ক চকোলেট- বিপুল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে ডার্ক চকোলেটে। শরীরের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক উপকরণ বের করে দেয় এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অনেক সময় এইসব ক্ষতিকারক জিনিসও অকালে চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ।


দুগ্ধজাত উপকরণ- দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। দুধ, দই, পনির সবই রয়েছে এই তালিকায়। প্রচুর ভিটামিন বি১২ থাকে এইসব খাবারে। এর প্রভাবে মেলানিন তৈরি হয় যা চুল কালো রাখতে সাহায্য করে।


ডিম, সোয়াবিন, ডাল- চুল উজ্জ্বল করতে, চুলের স্বাস্থ্য ভাল করতে ডিম বিশেষ করে ডিমসেদ্ধ খাওয়াই ভাল। এর সঙ্গে খেতে পারেন বিভিন্ন রকমের ডাল ও সোয়াবিন। শরীরের পাশাপাশি চুলেও পুষ্টি জোগাবে এইসব খাবার। চুল সতেজ, সুদৃঢ় করার সঙ্গে সঙ্গে অকালপক্কতার প্রবণতা কমাবে।


এইসব খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি চুলে তেল দেওয়া, শ্যাম্পু করা, ভিজে চুল না আঁচড়ানোর অভ্যাসও বজায় থাকুক।