Hair Care Tips: চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অয়েল ম্যাসাজ করা প্রয়োজন। কিন্তু স্ক্যাল্পে বা চুলে অয়েল ম্যাসাজ করতে গিয়ে আমরা প্রায় সকলেই কিছু ভুল করে থাকি। অজান্তে করা এইসব ভুল সমস্যা ডেকে আনে। চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। সবার আগে দেখা দেয় চুল পড়ার সমস্যা। তাহলে জেনে নেওয়া যাক, চুলে তেল মালিশ করার সময় কোন কোন ভুল একেবারেই করা চলবে না।
স্ক্যাল্প অর্থাৎ মাথার তালু এবং চুল অতিরিক্ত তেলতেলে বা তৈলাক্ত ধরনের হলে অয়েল ম্যাসাজ করার ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিৎ। অনেকেরই মাথার তালু থেকে সিবাম প্রোডাকশন বেশি হয়। তার ফলে চুল এবং স্ক্যাল্প অয়েলি ধরনেরই হয়। এই ধরনের চুলে অয়েল ম্যাসাজ করলে চুল চিটচিটে হয়ে যায়। ফলে সহজে নোংরা, ময়লা, ধুলো জমে যেতে পারে। আর তার প্রভাবে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও স্ক্যাল্পে বিভিন্ন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। এছাড়াও হেয়ার ফলিকলের মুখগুলি বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।
চুলের লম্বা অংশ হোক বা মাথার তালু অর্থাৎ স্ক্যাল্প, যেখানেই তেল ম্যাসাজ করুন না কেন তা আলতো হাতে, হাল্কা ভাবে করতে হবে। জোরে ঘষে চুলে এবং স্ক্যাল্পে অয়েল ম্যাসাজ করলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। তার ফলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে। তাই চুলে কিংবা স্ক্যাল্পে কখনই খুব জোরে ঘষে অয়েল ম্যাসাজ করবেন না। ভেজা চুল জোরে ঘষে মুছলেও একই সমস্যা হবে। আলগা হয়ে যাবে চুলের গোড়া। তার জেরে বাড়বে চুল পড়ার পরিমাণ। ভেজা চুল বেঁধে রাখলেও চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায়। অনেকে বড় চুল থাকলে স্নানের পর চুলে গামছা কিংবা তোয়ালে পেঁচিয়ে রাখেন। এই অভ্যাস চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ।
চেষ্টা করুন চুলে সাধারণ নারকেল তেল হাল্কা গরম করে ম্যাসাজ করতে। যাঁরা ক্যাস্টর অয়েল লাগাতে চান, অবশ্যই সেটা অন্য কোনও তেলের সঙ্গে মিশিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। সরাসরি চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগালে তা তুলতে বেশ কষ্ট করতে হবে। কারণ এই তেল খুব আটালো ধরনের। ক্যাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে, চুলের বৃদ্ধিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে। কিন্তু এই তেল চুলেয়াটকে থেকে যাওয়া একেবারেই ভাল নয়।
আরও পড়ুন- কোন বাদাম বেশি খেলে ফুলে যেতে পারে ঠোঁট-জিভ-মুখ ? দেখা দিতে পারে গলা চুলকানির সমস্যাও
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।