কলকাতা: বর্ষা থেকে শীত। শীত পেরিয়ে গরম। বছরভর যেকোনও ঋতুতে মুখোমুখি হতে হয় চুলের সমস্যার। কখনও খুশকির দাপট, কখনও চুলের গোড়া ফেটে যাওয়া, কখনও আবার চুল শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। তার সঙ্গে চুল ঝরার সমস্যা তো রয়েইছে। নানা সময় নানা ওষুধ ব্যবহার করেও স্থায়ীভাবে সুরাহা মেলে না। 


যদিও হাতের কাছেই রয়েছে এই সমস্যা মোকাবিলার টোটকা। চুল ঝরার সমস্যা ঠেকাতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে খুব পরিচিত কিছু ঘরোয়া টোটকার কথা বলা হয়েছে। যার মধ্য়ে অন্যতম হল পেঁয়াজ। ইদানিং অনেক শ্যাম্পুতেই পেঁয়াজের রাসায়নিক গুণের ব্যবহার করা হয়। সেই শ্যাম্পু দরকার নেই, বাড়িতে থাকা পেঁয়াজের সাহায্যেই সহজে কমতে পারে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা। 


কী কী উপকার:
চুল ঝরে পড়া রুখতে ব্যবহার হয় পেঁয়াজের রস। চুল সাদা হওয়া রুখতে, খুশকি দবর করতেও কার্যকরী পেঁয়াজের রস। চুলের জেল্লা ফেরানোর জন্যও ব্যবহার করা হয়। অ্যালোপেশিয়ার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়। মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে পেঁয়াজের রস ব্য়বহারে উপকার মেলে। 


কী ভাবে কাজ হয়?
পেঁয়াজের পর্যাপ্ত পরিমাণে ডায়েটারি সালফার (Dietary sulfur) থাকে। এই সালফার অ্যামাইনো অ্যাসিডে পাওয়া যায় যা প্রোটিনের অন্যতম উপাদান। প্রোটিন, মূলত কেরাটিন চুলের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। মাথার ত্বকে (Scalp) এবং চুলে পেঁয়াজের রস দিলে অতিরিক্ত সালফারের কারণে চুল ভাল থাকে। চুল বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এই কোলাজেন নতুন Skin Cell তৈরিতেও সাহায্য করে।   
 
কী পদ্ধতি:
বাড়িতে পেঁয়াজ থেকে রস বের করে নিয়ে ব্যবহার করা যায়। এর সঙ্গে নারকেল তেল, অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার মেলে। 


যদিও অ্যালোপেশিয়া বা টাক পড়ে যাওয়া বা এমনই কোনও গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে ওষুধ হিসেবে পেঁয়াজের রস ব্যবহারের কথা বলা হয় না। অনেকের অ্যালার্জিও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রেও পেঁয়াজের রস ব্যবহার করা উচিত নয়।  


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন: মরসুমের শুরুতেই ঠান্ডায় কাবু? সুস্থ থাকতে সঙ্গী হোক ঘরোয়া টোটকা