কলকাতা: মধুর অনেক গুণ, সেই প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদে মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। মধু (Honey) সেবন করলে কী কী উপকার হতে পারে আমাদের স্বাস্থ্যের? আজ সেটাই জেনে নেব।
স্বাস্থ্যের মধু মিষ্টি হলেও ওজন কমাতে মধুর জুড়ি মেলা ভার। আমরা যারা ডায়েট (Diet) করি তাদের জন্য চিনি একেবারে শত্রু সমান। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখতে এবং স্লিম থাকার জন্য চিনির বদলে মধুর ব্যবহার ভীষণ ভাবে কার্যকরী। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে হালকা গরম জলে এক চামচ মধু ও তার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং পেটের অতিরিক্ত মেদ অর্থাৎ বেলি ফ্যাট কমাতে ভীষণভাবে কার্যকরী। এছাড়াও এতে লিভার পরিষ্কার থাকে।
আয়ুর্বেদের মতো প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুযায়ী ক্ষত নিরাময়ে ত্বকে সরাসরি মধু ব্যবহার করা হত। মধুর ব্যাকটেরিয়ারোধী উপাদান এবং সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধে এর সক্ষমতার কারণে এমনটি করা হত।
আরও পড়ুন...
পুজোর আগে শেষমুহূর্তে চুলের পরিচর্যা, করাতে পারেন 'হেয়ার বোটক্স', খুঁটিনাটির হদিশ দিলেন বিশেষজ্ঞ
উচ্চমাত্রায় চিনি ও ক্যালোরি থাকার পরও পরিশোধিত চিনির চেয়ে ভালো বিকল্প মধু। পরিশোধিত চিনিতে পুষ্টির উপাদান যেখানে প্রায় শূন্যের কোঠায়, মধু সেখানে ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৪৮ জনের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, মধু রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ালেও চিনির মতো বৃদ্ধি করে না।
আরও পড়ুন...
চিনির পরিবর্তে উচ্চমানের মধু খাওয়ার ফলে হৃৎপিণ্ডের নানামাত্রিক উপকার হতে পারে। এটি হৃদরোগের বেশ কিছু ঝুঁকি কমানোয় সহায়ক হতে পারে। ৩০ দিনের একটি গবেষণায় অংশ নেয়া ৫৫ জনের ওপর চিনি ও মধুর প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, মধু সেবককারীদের ‘ক্ষতিকর’ এলডিএল কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করেছে। অন্যদিকে ‘ভালো’ কোলেস্টেরল এইচডিএল বাড়াতে সহায়তা করেছে মধু।
ভালো মানের মধুতে ফেনোলিক অ্যাসিড ও ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সুস্বাস্থ্যে সহায়ক হতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন