কলকাতা: সাধারণ একটি আনাজ। অন্য সব আনাজের সঙ্গে বিচার করলে তুলনায় সস্তা। সাধারণত ডালের সঙ্গে ভাজা অথবা নানা তরকারিতে সঙ্গী হিসেবেই বেশি ব্যবহার হয় এই আনাজ কুমড়োর। খুব চেনা, সহজলভ্য এই আনাজের মধ্যেই লুকিয়ে নানারকম গুণ।
কুমড়োর শাঁস থেকে বীজ, সবকিছুই ভাল স্বাস্থ্যের জন্য় গুরুত্বপূর্ণ। নানাধরনের পোষকপদার্থ থেকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, সবকিছুই মেলে কুমড়ো থেকে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন কুমড়ো পটাশিয়াম এবং ফাইবারে ভরপুর। যা প্রতিদিনের ডায়েটে থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কিন্তু কেন এত গুরুত্বপূর্ণ কুমড়ো?
ফাইবারে ঠাসা, ভাল রাখে হজমশক্তি:
পাচনতন্ত্র ভাল রাখতে প্রয়োজন ডায়েটারি ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করতেও কাজে লাগে ফাইবার। হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া ঠিকমতো চালাতেও প্রয়োজন ফাইবার।
পটাশিয়ামে ভরপুর:
এই খনিজ মৌল মস্তিষ্ক, পেশি এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজন। এর প্রাকৃতিক উৎসের জন্য মূলত কলার উপর ভরসা করে থাকেন অনেকে। কুমড়োও পটাশিয়ামের অত্যন্ত ভাল উৎস।
বেটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ:
বেটা ক্যারোটিন থাকায় কুমড়ো উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়। এখান থেকেই মানবশরীর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ভিটামিন এ পেয়ে থাকে। যা কোষের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চোখ, ত্বক এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় এটি। বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলে থাকেন বেটা ক্যারোটিন ক্যানসার প্রতিরোধী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত ভাল হবে তত বেশি করে সংক্রামক রোগ ঠেকানো যায়। কিছু কিছু খাবার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। কুমড়োতে এমন একাধিক খাদ্যগুণ রয়েছে। ভিটামিন এ, সি এবং ই- পাওয়া যায় কুমড়ো থেকে। এছাড়া দেহে আয়রন শোষণ করতেও সাহায্য় করে।
প্রদাহরোধী পদার্থে ভরপুর:
কেটে যাওয়া, ছড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা হামেশাই ঘটে থাকে। তা থেকে সাময়িক প্রদাহ হয়। কিন্তু ক্রনিক ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহের মতো বিষয়ের জন্য হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনির রোগ বা অটোইমিউন ডিজিজের মতো রোগের থাকা বসতে পারে। অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারি পদার্থ এই ঝুঁকি কমাতে পারে, যা কুমড়োয় রয়েছে।
উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল লাগামে রাখতেও সাহায্য করে কুমড়ো। এছাড়া, কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। কুমড়োর বীজ রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: আর্থিক সমৃদ্ধি চান? ধনতেরসের দিন ঝাড়ুর সঙ্গে ঘরে আনুন এই কয়েকটা জিনিস