নয়াদিল্লি: এপ্রিলের শুরু থেকেই প্রবল গরমের অনুভূতি। ভারতের একাধিক এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে। এপ্রিলের পর থেকে পুরোদমে গরমের মরসুম শুরু হলে তাপপ্রবাহের আশঙ্কা আরও বাড়বে। গরমের সময় শরীরে জলের অভাবও ঘটে থাকে। এছাড়া, হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোকের সমস্য়াও দেখা যায়। গরমের সময় অনেককেই পেশার প্রয়োজনে দিনভর রাস্তায় ঘুরতে হয়। অনেককে গরমের মধ্য়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে বাইক বা স্কুটি চালিয়ে কর্মক্ষেত্রে যেতে হয়। ফলে তাঁদের জন্য দিনভর হাইড্রেটেড (Hydrated) থাকা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কিন্তু কী ভাবে দিনভর শরীরে জলের মাত্রা ঠিক রাখা যাবে? রইল তারই কিছু সহজ টিপস।
কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর জল:
গরমকে কাবু করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতেই হবে। বিশেষ করে যাঁদের রোদের মধ্যে ঘুরে ঘুরে কাজ করতে হয়, তাঁদের কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর জল খাওয়া উচিত। জল খাওয়ার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের ফারাক থাকা উচিত নয়। শুষ্ক গরমের সময় শরীর ঠান্ডা রাখতে যেমন জলের প্রয়োজন, তেমনই আর্দ্রতায় ঘামের কারণে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যাওয়ায়, সেই সময়েও ডিহাইড্রেশন ঠেকাতে জলের প্রয়োজন।
ওআরএস বা নুন-চিনির সরবত:
ভারতের একাধিক রাজ্যে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকে। তাপের থেকেও বেশি সমস্যা ঘটায় আর্দ্রতা। ঘামের কারণে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। এই সময় জলে নুন-চিনি মিশিয়ে খেলে শরীর জলের সঙ্গেই প্রয়োজনীয় শর্করা, সোডিয়াম ও খনিজ উপাদানের জোগান বজায় থাকে। ওআরএস-ও ব্যবহার করা যায়। রোদর প্রভাব থেকে বাঁচতে যা অত্যন্ত উপযোগী।
বাদামের গুণ:
সকালে খালি পেটে বাদাম খাওয়া যায়। দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও ফাইবার থাকায় ক্লান্তি ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
সঙ্গে থাকুক খেজুর:
একাধিক ভিটামিনে ভরপুর খেজুর। শর্করার কারণে প্রচুর এনার্জি পাওয়া যায়। দীার্ঘক্ষণ পেটও ভর্তি থাকে। তার সঙ্গেই খেজুর শরীরকে হাইড্রেট করতেও সাহায্য করে।
চিয়া সিডস:
বীজজাতীয় এই খাদ্য মূলত ডিহাইড্রেশন ঠেকাতে কাজে লাগে। সামান্য কিছু বীজ জলের বোতলে দিয়ে রাখলে, পরদিন জলের সঙ্গে খাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন শেক (shake), ওটস বা পানীয়ের সঙ্গে চিয়া সিড (Chia Seed) খাওয়া যায়। এটি শরীরে জল ধরে রাখতে সাহায্য করে।
তেল-মশলা বাদ:
গরমের সময় যতটা সম্ভব অতিরিক্ত তেল মশলা বাদ দিয়ে খাবার রান্না করা প্রয়োজন। পেট ভাল রাখে। তার সঙ্গেই আরও উপকার রয়েছে। গরমে অতিরিক্ত তেল-মশলা (Spicy) খাবার হজমে সমস্যা হয়। রোদের মধ্যে থাকতে হলে যতটা সম্ভব সহজপাচ্য খাবার খাওয়া উচিত। অতিরিক্ত ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি করে।
পাতে দই:
গরম পড়লে দই মাস্ট। আলাদা করে খাওয়া যায়। প্রয়োজনে ভাত বা রুটির সঙ্গে বা ঘোল করেও খাওয়া যায়। শরীর ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই খাবার। তার সঙ্গে খাবার হজম করাতেও গুরুত্বপূর্ণ।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।