কলকাতা: শরীরের অন্যান্য অঙ্গ থেকে মেদ (Fat) ঝরে গেলেও পেটে জমে থাকা মেদ (Belly Fat) ঝরানো বেশ মুশকিল হয়ে পড়ে। যাঁরা পেটে জমে থাকা মেদ ঝরানোর জন্য চেষ্টা করছেন, তাঁরা জানে এই কাজ কতটা কঠিন। বিশষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওজন কমাতে, মেদ ঝরাতে যেমন ডায়েটের দিকে নজর রাখা দরকার, তেমনই লাইফস্টাইলের দিকেও নজর রাখতে হবে। এর পাশাপাশি খাবারের তালিকায় রাখতে হবে এমন কিছু উপাদান, যা দ্রুত পেটে জমে থাকা মেদ ঝরাতে সাহায্য করবে। দ্রুত পেটের মেদ ঝরাতে তাই এমনই পাঁচ সব্জির রস (Vegetable Juice) খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোন কোন সব্জির রসে কমবে পেটের মেদ-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শীতকাল জুড়ে বাজারে দোকানে প্রচুর পরিমাণে গাজর পাওয়া যায়। নানারকম রেসিপি তৈরি করে এই সব্জি আমরা খাই। কিন্তু জানেন কি যে, গাজর শুধুই হালুয়া করে ডেজার্ট খাওয়ার জিনিস নয়। এর স্বাদের পাশাপাশি এর উপকারিতাও অনেক। এতে খুব কম পরিমাণে রয়েছে ক্যালোরি। এবং প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ফাইবার। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। তার সঙ্গে ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত গাজরের রস খেলে দ্রুত পেটের মেদ কমবে।
২. হজমের সমস্যা, গা বমি দেওয়ার মতো সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। এই সমস্যা প্রতিরোধ করতে নিমিত বাঁধাকপির রস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঁধাকপির রস খেলে পেট ভরা থাকে। অন্য খাবার খাওয়া থেকে দূরে রাখে। এই সব্জির রসকে সুস্বাদু করে তুলতে বাঁধাকপির রসের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস এবং চাট মশলা ব্যবহারের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন - Hair Care Tips: শ্যাম্পুর পরই কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন? ঠিক করছেন কি?
৩. বীটের উপকারিতা সম্পর্কে যত বলা হয়, কমই বলা হয়। এনটাই মত বিশেষজ়্দের। শীতকালে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বীট। প্রাকৃতিক শক্তির পাওয়ার হাউজ বলা হয় এই সব্জিকে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, মিনারেলস এবং ফাইবার দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৪. পালং শাক তো নানাভাবে খেয়ে থাকেন। এবার ওজন কমাতে, বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে নিয়মিত তালিকায় রাখুন পালং শাকের রস। শীতকালে পাওয়াও যায় প্রচুর পরিমাণে। যেমন উপকারী, তেমনই সুস্বাদুও।
৫. ওজন কমাতে লাউয়ের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত খাবারের তালিকায় লাউ রাখার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু রান্না করে খাওয়াই নয়, পেটে জমে থাকা মেদ ঝরাতে লাউয়ের রস খাওয়ার কথা বলছেন তাঁরা।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।