Magnesium Rich Foods: বিভিন্ন ধরনের মিনারেলস অর্থাৎ খনিজ উপকরণ যুক্ত খাবার আমাদের খাওয়া উচিত। কারণ শরীরে মিনারেলসের ঘাটতি হলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরে বাসা বাঁধতে পারে জটিল রোগ। এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলস বা খনিজ উপকরণ হল ম্যাগনেসিয়াম। আমাদের শরীরের বিভিন্ন পেশী এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা সঠিক ভাবে বজায় থাকে এই ম্যাগনেসিয়ামেরই সাহায্যে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার অর্থাৎ রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। 


তবে ক্যালশিয়ামের সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেলে তার কার্যক্ষমতা কমে যায়। এই তালিকায় রয়েছে আয়রন এবং জিঙ্কও। অর্থাৎ এই তিন ধরনের মিনারেলসের সঙ্গে ম্যাগনেসিয়াম খাওয়া যাবে না। এর প্রভাবে আমাদের শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের শোষণ হওয়ার মাত্রা কমে যায়। অতএব ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং জিঙ্ক - এই তিনটি মিনারেলস বা খনিজ উপকরণ সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে কখনই ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। এর জেরে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। 


ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে কী কী উপকার পাবেন, দেখে নিন তারই তালিকা 



  • ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার হার্টের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভাল রাখে। সহজে হৃদরোগ হতে দেয় না। 

  • টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও কার্যকর ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। 

  • ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে এই মিনারেলস বা খনিজ উপকরণ যুক্ত বিভিন্ন খাবার। 

  • মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার। 

  • প্রদাহজনিত সমস্যা অর্থাৎ ইমফ্লেমেশনের অসুবিধা কমায় ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবার। 

  • এই বিশেষ খনিজ যুক্ত খাবার কমায় ব্লাড প্রেশারের মাত্রা। অতএব হাই প্রেশার থাকলে তা কমাতে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেতে পারেন। 

  • হাড়ের গঠন মজবুত করে ম্যাগনেসিয়াম। এমনকি হাড়ের ক্ষয়ও রোধ করে এই খনিজ উপকরণ। 

  • ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার। 

  • পেশী এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিকভাবে বজায় রাখার পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের ভরপুর এনার্জি দেয়। 

  • নতুন ডিএনএ তৈরিতে এবং অস্টিওপোরোসিসের মতো জটিল রোগ রুখতে সাহায্য করে এই বিশেষ খনিজ উপকরণ। 


ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


আরও পড়ুন- বছরের শুরুতেই চুলে রং করিয়েছেন? এবার প্রয়োজন সঠিন যত্নের, কীভাবে সম্ভব?