Liver Health: আমাদের লিভারে (Liver) কোনও সমস্যা দেখা দিলে শরীরে একাধিক অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। অ্যাসিডিটি, বদহজমের সমস্যা এইসব তো রয়েইছে। লিভার ভাল না থাকলে অত্যধিক হারে চুল পড়ার সমস্যা দেখা যায়। চোখের চারপাশে দেখা যেতে পারে কালচে দাগছোপ বা ডার্ক সার্কেল। কমে যাবে খিদে। সারাক্ষণ ক্লান্ত, ঝিমানো ভাল থাকবে। তাই লিভার সুস্থ (Health Tips) রাখা ভীষণভাবে প্রয়োজন। সামান্য সমস্যা দেখা দিলেও অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়াও প্রতিদিনের মেনুতে কয়েকটি খাবার রাখতে পারেন যেগুলো আপনার লিভারের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে। সেগুলো কী কী, একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
আঙুর- লিভার ভাল রাখার জন্য প্রতিদিন কিছুটা পরিমাণ আঙুর খেতে পারেন। তবে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই বুঝে খান। একসঙ্গে অএকটা আঙুর খেতে যাবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কালো এবং লাল রঙের আঙুরের মধ্যে রয়েছে Resveratol, এই উপকরণ লিভার ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি- ব্রকোলির রয়েছে অনেক গুণ। লিভার ভাল রাখতেও সবুজ রঙের এই ফুলকপি কাজে লাগে। বাঁধাকপি খাওয়াও লিভারের জন্য ভাল। তরকারি বা স্যালাডে বাঁধাকপি খেতে পারেন। একটু সেদ্ধ করে খেলে বেশি উপকারি। কাঁচা খেলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আসলে ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি সবেতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এইসব সবজি হেলদি এনজাইম নিঃসরণে সাহায্য করে। তার ফলে কমে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং ভাল থাকে লিভার।
রসুন- অনেকেই সকালবেলা খালি পেটে এক বা দু'কোয়া কাঁচা রসুন খান। এই রসুন লিভারের পক্ষে ভাল। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ লিভারের থেকে ফ্যাট কমায়। ফলে কিভার ভাল থাকে। তবে কাঁচা রসুন যতটা উপকারি রান্নায় ব্যবহারের পরে আর ততটা উপকারি থাকে না এই আনাজ বা মশলা।
ওটস- সকালের জলখাবারে আজকাল অনেকেই ওটস খেয়ে থাকেন। পেট ভরিয়ে রাখে এই খাবার। দ্রুত হারে কমায় ওজন। এর পাশাপাশি ওটস খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। এর মধ্যে থাকা ফাইবার এবং বিটা-গ্লুকেন লিভার ভাল রাখে। ওটসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা মানবশরীরের পক্ষে ভাল।
বিটরুট জুস- এই বিটরুট জুস বা বিটের রস খেলেও আমাদের লিভারের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এর মধ্যে রয়েছে বিটালিন এবং নাইট্রেটস। বিটরুট জুস অ্যাসিডিটি এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের সমস্যা কমায়। শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বের করতেও সাহায্য করে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।