কলকাতা: ভারতের নাগরিকদের একটা বড় অংশ রক্তাল্পতার শিকার। বিশেষ করে মহিলাদের একটি বড় অংশ অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতায় ভুগে থাকেন। প্রসূতি এবং গর্ভবতীদের মধ্যে এই সমস্যা তুলনামূলক ভাবে বেশি দেখা যায়। কিন্তু অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতার সমস্যা রোখা খুব কঠিন নয়। প্রতিদিনের খাবারে কিছু কিছু বিশেষ জিনিস রাখলেই অনেকটা ঠেকিয়ে রাখা যায় এই সমস্যা।


হিমোগ্লোবিন কী?
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকায় থাকে আয়রন সমৃদ্ধ প্রোটিন হিমোগ্লোবিন (Hemoglobin)। এর মাধ্যমেই সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ হয়ে থাকে।


বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা খেলে ভাল থাকে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ। সেগুলো কী কী?


খেজুর: খেজুরে (Dates) বিপুল পরিমাণ লৌহ-যৌগ রয়েছে। যা শরীরে আয়রনের জোগান দিতে পারে। এছাড়াও খেজুরে রয়েছে ভিটামিন সি (Vitamin C), ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ফলিক অ্যাসিড। এগুলি লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতেও সাহায্য করে, অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।


কিসমিস: কেক-পায়েস থেকে পোলাও, হরেক খাবারে ব্যবহার করা হয় কিসমিস (Raisin)। এটি আয়রন (Iron) সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও রয়েছে আরও পোষক পদার্থ যা লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে সাহায্য করে।


মিলেট: প্রতিদিন মিলেট জাতীয় খাবার খেলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ে। সিরাম ফেরিটিনও বৃদ্ধি পায় যা শরীরে আয়রন ঘাটতি কমিয়ে অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।


সেসামে বীজ: বিভিন্ন পোষকপদার্থ রয়েছে এখানে। আয়রন, ফলেট, ফ্ল্যাভোনয়েড, তামার মতো প্রয়োজনীয় মৌল রয়েছে। যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।


এছাড়াও কালো জাম (Jamun), অ্যাপ্রিকট, ডালজাতীয় (Lentils) শস্য, তেঁতুলের শাঁস এবং চিনাবাদাম হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে ও অ্যানিমিয়া ঠেকাতে অত্যন্ত কার্যকরী। সুস্থ থাকতে খাদ্য়তালিকায় রংবেরংয়ের ফল ও সব্জি থাকা উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরাও খাদ্যতালিকায় সবুজ, লাল, হলুদ, কমলা ফল ও সব্জি সামিল করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এরফলে শরীরে সমস্ত জরুরি ভিটামিন ও খনিজের যোগান হয়। ত্বক সতেজ রাখতেও লাল রঙের ফল খুবই সহায়ক হতে পারে বলে মনে করা হয়।এগুলি ডায়েবেটিস, অস্টিওপোরোসিস ও হাই কোলেস্টেরল মতো সমস্যাও কম করা যায়। জেনে নেওয়া যাক, লাল রঙের ফল ও সব্জির উপকার।


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।

আরও পড়ুন: পা-ফাটার সমস্যা দূর করতে কীভাবে পায়ের যত্ন নেবেন? রইল কিছু সহজ টিপস