Bad Cholesterol: কোলেস্টেরলের মধ্যে ব্যাড কোলেস্টেরল (Bad Cholesterol) আমাদের স্বাস্থ্যের (Heart Health) পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। যে সমস্ত উপকরণ ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, সেইসব খাবার একেবারেই না খাওয়া উচিত। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো এই ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বা নিয়ন্ত্রণে রাখে। যাঁদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া একেবারেই ভাল বিষয় নয়। তাই ব্যাড কোলেস্টেরল কমায় এই রকম খাবারই হার্টের রোগীদের জন্য আদর্শ। এই তালিকায় কী কী খাবার রয়েছে, অর্থাৎ কী কী খাওয়া যেতে পারে সেগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।



  • বেরি- জাতীয় ফল- এইসব ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। এই সমস্ত উপকরণ শরীরে প্রদাহজনিত সমস্যা বা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে। তার প্রভাবে শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে।

  • আঙুর- যেকোনও আঙুর বিশেষ করে লাল আঙুর নিয়মিত ভাবে খেতে পারলে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে পারে। 

  • আপেল- আপেলের মধ্যে রয়েছে সলিউএবেল ফাইবার। এই ফল হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কমায় ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা। 

  • কলা- এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। তার ফলে রক্ত চাপের মাত্রা কমে। একই সঙ্গে কমে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রাও। 

  • আনারস- এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস যা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে সাহায্য করে। অর্থাৎ হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের প্রবণতা কমায়। 


আপনার চুল থেকে জানা যেতে পারে যে ভবিষ্যতে আপনার হার্ট অ্যাটাক (Heart Attacks) হতে পারে কি না। সম্প্রতি এমনই একটি গবেষণার (Research) তথ্য সামনে এসেছে। যা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে। রিসার্চে দেখা গেছে যে, মানুষের চুলে স্ট্রেস হরমোন (Stress Hormone) রয়েছে। যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে বোঝা যেতে পারে আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে কি না। এবছর আয়ারল্যান্ডের (Ireland) ডাবলিনে 'ইউরোপিয়ান কংগ্রেস অন ওবেসিটি'-তে একটি গবেষণার কথা তুলে ধরা হয়। তা থেকে জানা গেছে যে, গ্লুকোকোর্টিকয়েড – যে কোনও মানুষের চুলে স্টেরয়েড হরমোন থাকে। যা এক সময়ের পর বাড়তে থাকে। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা গেছে যে, এই হরমোনের মাত্রা ভবিষ্যতে বাড়লে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। 


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আরও পড়ুন- খাবার দেখলেই অনীহা? একেবারেই নেই খিদে? প্রতিদিন সহজ কিছু নিয়ম মেনে চললে সমাধান হবে সমস্যার