High Level Protein Intake: আমাদের শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি (Protein Deficiency) হলে যেমন নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেমনই প্রোটিনের আধিক্যের (Excessive Protein) ফলেও একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে আমাদের শরীরে। মানবদেহে যদি ক্রমশ প্রোটিনের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং তাহলে বিভিন্ন জটিল সমস্যা হতে পারে আমাদের শরীরে। আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। কিন্তু শরীরে এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। পেশীতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। চুল এবং ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। এর পাশাপাশি সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব দেখা দিতে পারে। শরীরে যদি ক্রমশ প্রোটিনের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার- এইসব উপকরণের সাহায্যে ভারসাম্য তৈরি না হয় তাহলে জটিল সমস্যা হতে পারে আমাদের শরীরে।


চলুন জেনে নেওয়া যাক আমাদের শরীর প্রোটিনের আধিক্য হলে কী কী সমস্যা দেখা দিতে পারে


কিডনির সমস্যা- শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে কিডনির উপর চাপ বাড়তে পারে। ফলে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সাবধান থাকা প্রয়োজন। 


ডিহাইড্রেশন- অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বাড়তে পারে। এর ফলে প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। তার ফলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা যায়।


নিউট্রিয়েন্ট ইমব্যালেন্স- প্রোটিনের আধিক্য হলে শরীরে অন্যান্য পুষ্টি উপকরণের ঘাটতি হতে পারে। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য ধরনের খাবার খাওয়ার দিকেও নজর দিন।


হজমের সমস্যা- শরীরে প্রোটিনের আধিক্য হলে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবার গুরুপাক। এই জাতীয় খাবার হজম করা বেশ কষ্টকর। বদহজমের পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দেখা দিতে পারে শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে।


হাড়ের গঠনে সমস্যা- অতিরিক্ত পরিমাণে প্রোটিন জাতীয় খাবার খেলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে পারে। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে ক্যালসিয়াম। তার ফলে হাড়ের গঠনে সমস্যা দেখা দিতে পারে। বোন ডেনসিটি কমতে পারে।


বাড়তে পারে ওজন- প্রোটিন জাতীয় খাবারের মাধ্যমেও শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি ঢুকতে পারে। আর ক্যালোরির পরিমাণ বাড়তে থাকলে অতি অবশ্যই ওজন বাড়বে আপনার। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার যথেচ্ছ ভাবে খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।


আরও পড়ুন- 'হেয়ার থিনিং' বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? মুক্তির উপায় কী? রইল কিছু সহজ টিপস


ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial